অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিতে ‘ডুমসডে ক্লক’ আপডেট করা হচ্ছে


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪শে জানুয়ারী ২০২৩ সন্ধ্যা ০৭:০১

remove_red_eye

২৯৪

মানব সভ্যতা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্পর্কে সতর্কতামূলক প্রতীকী ঘড়ি ‘ডুমসডে ক্লক’ আজ আপডেট করা হচ্ছে। 
ইউক্রেনের যুদ্ধ ও অন্যান্য সংকটের পটভূমিতে বিশ্বের শীর্র্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মঙ্গলবার এই ঘড়ির সময় আপডেট করবেন। 
‘বুলেটিন অফ অ্যাটোমিক সাইনটিস্ট’ সকাল ১০টায় (গ্রিনিজ মান সময় ১৫০০ টায়) প্রতীকী ঘড়িটির সময় পরিবর্তন হবে কি-না তা ঘোষণা করবেন। ঘড়িটি ‘মানবতা কতটা আত্মবিনাশের কাছাকাছি তার রূপক’ হিসেবে বর্ণনা করে।
১১ জন নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানীর সমন্বয়ে বুলেটিনের বিজ্ঞান ও নিরাপত্তা বোর্ড এবং বোর্ডের  স্পন্সররা প্রতি বছর ঘড়িটি আপডেট করার সিদ্ধান্ত নেন। বুলেটিন বলেছে, ২০২৩ সালের জন্য তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জীবাণু অস্ত্রের-হুমকি, পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার, অব্যাহত জলবায়ু সংকট, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা এবং বিঘিœত প্রযুক্তি বিবেচনা করবে।
ঘড়ির কাঁটা ২০২১ সালের জানুয়ারিতে মধ্যরাতের দিকে ১০০ সেকেন্ড এগিয়ে নেয়া হয়। এটিই তার ইতিহাসে মধ্যরাতের সবচেয়ে কাছাকাছি এবং গত বছর সেখানেই থেকে গেছে। মধ্যরাত হচ্ছে এই মহা বিপর্যয়ের প্রতীকি মুহূর্ত। 
গত বছরের ইভেন্টে বুলেটিন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ঘড়িটি সভ্যতা-সমাপ্তির সর্বকালের সবচেয়ে কাছাকাছি রয়েছে কারণ পৃথিবী একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক মুহূর্তে আটকে আছে।’
১৯৪৫ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন, জে রবার্ট ওপেনহেইমার ও অন্যান্য বিজ্ঞানীদের দ্বারা বুলেটিন প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতাবৃন্দ প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণকারি ম্যানহাটন প্রকল্পে কাজ করেন। বিশ্বব্যাপী বিপর্যয় ও ঝুঁকির প্রতীকী ঘড়ির ধারণাটি ১৯৪৭ সাল থেকে অনুসরণ করা হয়।

সূত্র বাসস





আরও...