অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


তজুমদ্দিনে উচ্চফলনশীল জাতের ব্রি ধান-৮৭ চাষে নতুন সফলতা


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২ই নভেম্বর ২০২২ রাত ০৯:৩৭

remove_red_eye

৩৪৩


এম নয়ন,তজুমদ্দিন : মাঠে মাঠে চলছে হৈ চৈ আর কৃষকদের উৎফুল্লতা। গ্রামের বাড়ি বাড়িতে কৃষাণীদের ব্যস্ততারও কমতি নেই। ক্ষেতে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের ধানের। এগুলোর আকৃতি ও আয়ুষ্কালের যেমন পার্থক্য রয়েছে। তেমনি রয়েছে ফলনেরও তারতম্য। অনেক ধান কৃষকেরা ইতোমধ্যে ঘরেও তুলেছেন। এখন হিসেব কষছেন কোন ধানের কেমন ফলন। এলাকার কোন কৃষকের ক্ষেতে হয়েছে সর্বোচ্চ ফলন। এরমধ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনষ্টিটিউটের উদ্ভাবিত ব্রি-ধান ৮৭ ফলনে চমক সৃষ্টি করেছে। যা তাদের ঘরে উঠতে শুরু করেছে।
এ জাতের ধান চাষে কম খরচে মাত্র ১’শ ৩৭ দিনে সংগ্রহ করা যায়। কৃষকদের ভাষ্য, ব্রি-ধান ৮৭’তে অভাবনীয় ফলন। কাজেই আগামীতে এ জাতের ধানেই তাদের আস্থা। চলতি মৌসুমে প্রায় সকল জাতের ধানেই ফলন হয়েছে। কোন জাতই ব্রি-ধান ৮৭’র ধারে কাছে নেই। দেশের নতুন এ জাতের ধানের ভালো ফলন পেয়ে কৃষকদের মনে দিচ্ছে খুশির দোলা।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ জাতের ধানে চিটা নেই বললেই চলে। আগাম ফসল কাটতে পারায় ওই জমিতে এখন সরিষা, আলুসহ অন্যান্য রবি শস্য করার উদ্যোগ নিতে পেরেছেন কৃষকরা। বাম্পার ফলনের খবরে প্রতিদিনই আশপাশের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা দেখতে আসছেন নতুন জাতের ধান। তারাও আগামীতে উচ্চ ফলন পেতে এই ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা দেবাশীষ দাস জানান, উপজেলার চাঁদপুর, সোনাপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু কৃষক এ বছর নতুন জাতের ব্রি-ধান ৮৭’র চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। উপজেলায় মোট ১’শ ৫০ হেক্টোর জমিতে ব্রিধান ৮৭’র চাষ করা হয়েছে। এ ধানে উৎপাদন ব্যয় অনেক কম। অপেক্ষাকৃত কম দিনে সংগ্রহ করা যায়। ফলনও বেশি। তাই কৃষকদের দৃষ্টি এখন ব্রিধান ৮৭’র দিকে।
তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার জানান, নতুন জাতের ধান হিসেবে তিনি কৃষকদের সব সময় পরামর্শ দিয়েছেন। এ ধানের ক্ষেতে যারা গেছেন তারা দেখেছেন কি পরিমান ফলন হয়েছে। কৃষকেরা আগামীতে ব্রিধান ৮৭" ধানের ওপর খুবই আগ্রহী।