দৌলতখান প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭ই নভেম্বর ২০২২ রাত ১০:১৩
৫৫০
দৌলতখান সংবাদদাতা : ভোলার দৌলতখানে স্বর্ণের দোকানে অবৈধ ভাবে এসিডের ঢালাও ব্যবহারে পরিবেশের দূষণ দিনদিন বেড়েই চলেছে। পোড়ানো এসিডের ধোঁয়াতে পরিবেশ হুমকির মুখে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে গোটা এলাকার নির্মল মুক্ত পরিবেশ। স্বর্ণ থেকে খাদ বের করতে নাইট্রিক এসিড পুড়িয়ে পরিবেশ বিনষ্ট করা হচ্ছে। সোনার গহনা তৈরির পর স্বর্ণের উজ্জ্বলতা আনতে সালফিউরিক এসিডও ব্যবহার হচ্ছে। নাইট্রিক এসিড দিয়ে পুড়িয়ে সোনা খাটি করার সময় যে ধোঁয়া বের হয়, তা বাতাসে মিশে বিষাক্ত অ¤øীয় বাষ্পে রুপ নেয়। নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড যুক্ত ওই বাতাস শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। প্রতিনিয়ত এসিডের বিষাক্ত ধোঁয়া মানুষের শরীরে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানিসহ ফুসফুসে নানা উপসর্গ দেখা দেয়ায় পথচারীসহ সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। দৌলতখান পৌরশহরের টাউনহল সংলগ্ন কলেজ রোডে রয়েছে ১০/১২টি সোনা- রুপার ব্যাবসায়ী দোকান। ওই মার্কেট সংলগ্নেই রামরতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের সামনে সোনার দোকানে যত্রতত্র এসিড ব্যবহারের ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে জুয়েলারি মার্কেটের রিতা জুয়েলার্সে ঢুকতেই দেখা গেল সোনার গহনায় তরল কিছু ব্যবহার করছেন কারিগরেরা। কী এটা? কারিগর বললেন, সালফিউরিক অ্যাসিড। এসিড ব্যবহারে লাইসেন্সের বিষয় জানতে চাইলে দোকানের মালিক মিহির বাবু বলেন, ব্যবহারের জন্য আমরা অল্প পরিমাণে নাইট্রিক ও সালফিউরিক এসিড রাখি। লাইসেন্স লাগে এই তথ্য আমাদের জানা নেই। দৌলতখান পৌরসভা ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অর্ধশত সোনার দোকানে সালফিউরিক ও নাইট্রিক এসিড ব্যবহার করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানি বলেন, তার দোকানে গহনা তৈরির পর সালফিউরিক এসিডের সাহায্যে পালিশের কাজ হয়। নাইট্রিক এসিড লাগে সোনা গালানোর কাজে। স্বর্ণের ব্যবসায়ীরা জানান, জেলা শহর ভোলা সদরসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসিড সংগ্রহ করেন তারা। সচেতন মহলের মতে, লাইসেন্স বিহীন সোনার দোকানে এসিডের ব্যবহার হলেও রহস্য জনক কারণে প্রশাসন নিরব। লাইসেন্স বিহীন এসব অবৈধ অ্যাসিড ও স্বর্ণের দোকানে প্রশাসনের অভিযান পরিচালনা না হওয়ায় দীর্ঘ দিনের পরিবেশ দূষণেরও কোনো পরিবর্তন হয়নি। লাইসেন্স নেই, অথচ অধিকাংশ দোকানেই এসিড ব্যবহার করা হচ্ছে । দৌলতখান পৌরসভার স্বপ্না জুয়েলার্স এন্ড ডায়মন্ড গ্যালারীর মালিক সুমন প্রতাপ সিং বলেন, আমার দোকানে এসিডের লাইসেন্স আছে।' এসিড বিক্রি করলে করতে পারি। তবে বিক্রি করিনা। ' ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রি করেন কী? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্ডার পেলে এনে দেই।' শুধু দৌলতখান পৌর শহরই নয়। ঘোষেরহাট, মিয়ার হাট, উপশহর বাংলাবাজারসহ উপজেলার সর্বত্র একই চিত্র।
দৌলতখান সরকারি আবু আবদুল্লা কলেজের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক গোবিন্দ প্রসাদ সরকার বলেন, ' সোনার গহনা তৈরির পর উজ্জ্বলতা আনতে কারিগরেরা সালফিউরিক এসিড ব্যবহার করে। নাইট্রিক এসিড ও হাইড্রোক্লোরিক এসিড মিশিয়ে তৈরি হয় অ্যাকোয়া রিজিয়া। যা সোনাকে দ্রæত গলিয়ে দেয়। নাইট্রিক এসিডে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড আছে। যা মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তবে এসিড ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স লাগে।
এ ব্যাপারে দৌলতখান উপজেলা স্বর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি, রানু রায়ের মুঠোফোনে কল করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেন নি। '
দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জানান, খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবো '।
ভোলায় ধান চাউল আড়ৎ মালিক সমিতির কমিটি গঠন
আমরা সবাই চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভোলায় আবাসিক হোটেল থেকে ব্যবসয়ারী ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ভোলায় অসহায় দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ
২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনআইডি পাবেন তারেক রহমান
বাবার সঙ্গে ভোটার হচ্ছেন জাইমা রহমান
ঢাকা-১৭ আসনে ভোটার হচ্ছেন তারেক রহমান: ইসি সচিব
ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান
মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেলেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ
বিএনপিতে যোগ দিয়ে মনোনয়ন পেলেন রাশেদ খান
ভোলায় বিষের বোতল নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা
ভোলায় পাঁচ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
উৎসবের ঋতু হেমন্ত কাল
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
ঢাকা-ভোলা নৌ-রুটের দিবা সার্ভিসে যুক্ত হলো এমভি দোয়েল পাখি-১র
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
জাতীয় সংসদে জাতির পিতার ছবি টানানোর নির্দেশ
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক