অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৫শে মাঘ ১৪৩১


সারা বিশ্বে জিও টেক্সটাইলের কদর বাড়ছে: কৃষিমন্ত্রী


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:২২

remove_red_eye

১১২

বাংলাদেশের পাশাপাশি সারা বিশ্বে জিও টেক্সটাইলের কদর বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে ‘বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং জিনোম গবেষণা কেন্দ্রের সাফল্য ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

সেমিনারে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কৃত্রিম তন্তুর (পলিথিন) ব্যবহার বাড়লেও টেকসই উন্নয়নের জন্য পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পাটের বহুমুখী ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। দেশে জিও টেক্সটাইলের অভ্যন্তরীণ বাজার এখন ৭০০ কোটি টাকা। সরকারের বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরিতে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল হিসেবে জিও টেক্সটাইলের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি সারা বিশ্বেও জিও টেক্সটাইলের কদর বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে পাটকাঠির কালো ছাই চীন, তাইওয়ান, জাপান, হংকং ও ব্রাজিলে রপ্তানি হচ্ছে।

বাংলাদেশ পাট গবেষণা কেন্দ্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এক সময় বাংলাদেশে পাটই ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পণ্য। পাট সোনালী আঁশ হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় পাটের উন্নয়ন ও পাট চাষিদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করেছেন। তিনি পাটের উন্নয়নে যুগান্তকারী অনেক কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য ২০০৯ সালে ডিসেম্বরে পাটের জিনোম সিকোয়েন্সিং কার্যক্রম শুরু করেন। পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। গবেষণার মাধ্যমে সোনালী আঁশের হারানো গৌরব ধীরে ধীরে ফিরে আসছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পাটবান্ধব নীতির কল্যাণে গত ১০ বছরে পাটের উৎপাদন বেড়েছে ৩৩ লাখ বেল। ২০১৫ সালে যেখানে ৫১ লাখ বেল পাট উৎপাদন হতো, সেখানে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দেশে পাট উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৮৪ লাখ বেল। এর মধ্যে প্রায় ৪৩ লাখ বেল পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা আমাদের আয় হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেন, ইতোমধ্যে পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন হয়েছে। আমাদের দেশের মাটিও পাট চাষের জন্য খুবই উপকারী। কাজেই পাটের উৎপাদন বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। সেজন্য আমাদের উচ্চ ফলনশীল জাত উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। এ লক্ষ্যে গবেষণায় আরও মনোযোগী হতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা এখনো পাট বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি। চাহিদার সিংহভাগ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। সেজন্য পাট বীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে পাট বীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং কম জমিতে অধিক সংখ্যক পাট উৎপাদনের লক্ষ্য সরকার কাজ করছে। এ খাতের উন্নয়নে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. আবদুল আউয়াল বলেন, পাট শুধু আমাদের সোনালী আঁশই নয়, আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সোনালী অধ্যায় হলো পাট। স্বাধীনতার পরও পাটের অধ্যায় ছিল ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু এখন প্লাস্টিক ও পলিথিনের দৌরাত্ম্যে পাটের চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে। ঢাকা শহরে একটি পরিবার গড়ে প্রতিদিন পাঁচটি পলিথিন ব্যবহার করে। সেই হিসেবে ঢাকা শহরে প্রতিদিন আড়াই কোটি পলিথিন ব্যবহার হচ্ছে। যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পরিবেশকে বাঁচাতে হলে আমাদের পাটজাত পণ্য ব্যবহারের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

পাটের নতুন নতুন জাত ও পাট জাত পণ্য উদ্ভাবনে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ৭৪টি গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা পাটের ১৬টি জাত আবিষ্কার করেছি।

সেমিনারে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থেকে আগত উদ্যোক্তা স্মিতা চৌধুরী বলেন, ভারত আমাদের থেকে পাট নিয়ে পণ্য তৈরি করে সেই পাটজাত পণ্য আমাদের কাছে বিক্রি করে। তারা পাট উৎপাদনে এগিয়ে না থাকলেও পাটজাত পণ্যের ডিজাইনের দিকে এগিয়ে আছে। আমরা যদি এ বিষয়ে উন্নতি করতে পারি, তাহলে আমরাই পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে আরও সাফল্য অর্জন করতে পারবো।

একই এলাকার পাট চাষি নিতাই পাল বলেন, আমাদের দেশের বাইরে থেকে পাটের বীজ আনতে হয়। আমরা যদি পাটের বীজ উৎপাদন ও প্রযুক্তিগত উন্নতি করতে পারি তাহলে পাট উৎপাদন আরও বাড়বে।

এ সময় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (গবেষণা অনু বিভাগ) রেহানা ইয়াসমিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসসহ বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন জেলা থেকে আগত উদ্যোক্তা ও পাট চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

সুত্র বাংলা নিউজ





ভোলায় এক্সেভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হলো আওয়ামী লীগ অফিস ও শেখ মুজিবের ম্যুরাল

ভোলায় এক্সেভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হলো আওয়ামী লীগ অফিস ও শেখ মুজিবের ম্যুরাল

ভোলায় কোস্টগার্ডের মেডিকেল ক্যাম্পেইনে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

ভোলায় কোস্টগার্ডের মেডিকেল ক্যাম্পেইনে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

ভোলায় তোফায়েল আহমেদের  বাড়িতে হামলা অগ্নিসংযোগ

ভোলায় তোফায়েল আহমেদের বাড়িতে হামলা অগ্নিসংযোগ

ভোলার দুর্গম চরাঞ্চলে সর্জান পদ্ধতিতে কৃষির নতুন সম্ভাবনা

ভোলার দুর্গম চরাঞ্চলে সর্জান পদ্ধতিতে কৃষির নতুন সম্ভাবনা

ভোলার মালেরহাট ব্রিজের পশ্চিম পাশে দুই  কিলোমিটার কাঁচা সড়কের বেহাল দশা

ভোলার মালেরহাট ব্রিজের পশ্চিম পাশে দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়কের বেহাল দশা

ভোলায় নানা আয়োজনে জাতীয় গণগ্রন্থাগার দিবস পালিত

ভোলায় নানা আয়োজনে জাতীয় গণগ্রন্থাগার দিবস পালিত

ভোলায় অটোরিকশাকে সাইড দিতে গিয়ে বাস খাদে, আহত ২৫

ভোলায় অটোরিকশাকে সাইড দিতে গিয়ে বাস খাদে, আহত ২৫

গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে ভোলায় বিক্ষোভ সমাবেশ

গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে ভোলায় বিক্ষোভ সমাবেশ

ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা, দেশে দেশে নিন্দার ঝড়

ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা, দেশে দেশে নিন্দার ঝড়

শেখ হাসিনার পতনের ৬ মাস

শেখ হাসিনার পতনের ৬ মাস

আরও...