অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ১২ই জানুয়ারী ২০২৫ | ২৯শে পৌষ ১৪৩১


ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণ ইতিহাসের মহাকাব্য : অধ্যাপক ড এম অহিদুজ্জামান


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩রা মার্চ ২০২৩ রাত ১০:১৯

remove_red_eye

২৮১




বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান বলেছেন, সাতই মার্চের বক্তব্য ইতিহাসের মহাকাব্য। এটা ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ। গোটা জাতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাষণ শোনার জন্য অধীর অপেক্ষায় ছিল। পাকিস্তান জান্তারা বাধ্য হয়ে তার ভাষণ বেতারে প্রচার করতে বাধ্য হয়েছিল। সাতই মার্চের ভাষণের পরই স্থানীয় পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেন। শুক্রবার বিকেল চারটায় বরিশাল ইনফরমেশন টেকনোলজি কলেজ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর বরিশাল বিভাগের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে"বরিশাল ১৯৭১: উত্তাল মার্চের কথা " শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান এসব কথা বলেন।
তিনি  আরো বলেন,  মুক্তিযুদ্ধের স্থানীয় পর্যায়ে যারা নির্যাতিত - নিপীড়িত হয়েছেন, বীরাঙ্গনা - হয়েছেন তাদেরকে স্বীকৃতি দিতে হবে। তিনি তার গ্রামের গণহত্যা শিকার পরিবারের কাহিনি তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধু সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি নিজ হাতেই গড়ে দিয়েছিলেন। তিনি কৃষিসহ সকল বিষয়ে সার্বিক উন্নয়নের ভিত্তি গড়ে যান। বঙ্গবন্ধু তার দ্বিতীয় বিপ্লবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান ব্যক্ত করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে সম্পদ পাচার বন্ধ করতে হবে। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসকে সকল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে হবে। ইতিহাসকে তরুণদের জানাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে জনমানুষে তুলে ধরতে হবে। ইতিহাস সম্মিলনীর এ উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান।
প্রফেসর অলিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নবম সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জি কবীর ভুলু যুদ্ধদিনের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি তরুণ মুক্তিযোদ্ধার দেশ স্বাধীন করার তীব্র আকাঙক্ষার গল্প বলেন। তার ওপর পাকিস্তান বাহিনীর অত্যাচারের কাহিনি উপস্থিত শ্রোতাদের আপ্লুত করে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে আহ্বান কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান শাহিন । তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী অসাম্প্রদায়িক ও গণমুখী ইতিহাস চর্চা করে। এ সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে জনমানুষে তুলে ধরতে চায়। সম্মিলনী এ ধরনের জেলা পর্যায়েও করা হবে।
 সরকারি ব্রজমোহন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. গোলাম মোর্শেদের সঞ্চালনায়  আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সহ-সম্পাদক আবুল বাশার নাহিদ, নাজিরপুর ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষক লুলু আল মারজান, বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মো. আশ্রাফুল হাসান লিটন, পটুয়াখালী জেলা সম্মিলনীর সভাপতি নজমুল আলম জসিম, ঝালকাঠি জেলা সম্মিলনী সভাপতি, আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে  বরিশালের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।