অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ই পৌষ ১৪৩২


সরকারের পতন ছাড়া বিএনপি থামবে না: সালাম


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বিকাল ০৫:৪৬

remove_red_eye

২৬৫

আগামীতে জোর করে ক্ষমতায় যাওয়ার নির্বাচন আর হতে দেওয়া হবে না জানিয়ে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, জনগণ এ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হতে দেবে না। দেশের জনগণকে বলি এ সরকারের অধীনে যদি থাকতে চান, তাহলে ইহকালও গেছে, পরকালও যাবে।

যদি পরকালকে বাঁচাতে চান, তাহলে রাস্তায় আসেন। এ সরকারের পতন ছাড়া বিএনপি থামবে না।

 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের মায়া কান্না করে দেশকে জাহান্নাম বানিয়েছে। বর্তমানে দেশের জনগণ একদিকে আর আওয়ামী লীগ একদিকে। সব জায়গায় মুখ বন্ধ এটাই হলো আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র। দেশের মানুষ আরামে নেই। আরামে আছে আওয়ামী লীগ। যারা দেশের টাকার লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছে।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, সব রাজবন্দিদের মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তি‌নি এ মন্তব‌্য ক‌রেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে নাগরিক মঞ্চ।

জনগ‌ণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভোটের আগে দেশে এসে আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করেছিল। আরেক দেশের গোলামি করার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা হয়নি।

আগামী নির্বাচনে বিদেশিদের ধোকা দেওয়া যাবে না মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ইউক্রেন- রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়নি। খারাপ হয়েছে তখনই যখন এ দেশের অর্থ লুটপাট করে বিদেশে বেগম পাড়া বানানো হয়েছে। দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় সবাই।

নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান এবং নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ শামীমের সভাপ‌তি‌ত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, মামুন হাসান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কারী আবু তাহের, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি আসাদুর রহমান খান ও বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মো. মাসুদ হোসেন প্রমুখ।