অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


জহির রায়হানের প্রয়াণ দিবস


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০শে জানুয়ারী ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:৪৫

remove_red_eye

৪১১

একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার। ১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট বর্তমান ফেনী জেলার সোনাগাজি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে তিনি যুগের আলো পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং ২১শে ফেব্রুয়ারির ঐতিহাসিক আমতলা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন তার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল, যার ছাপ দেখতে পাওয়া যায় তার বিখ্যাত চলচ্চিত্র জীবন থেকে নেয়াতে।

১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি কলকাতায় চলে যান এবং সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারাভিযান ও তথ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো- কখনো আসেনি, কাঁচের দেয়াল, বেহুলা, সঙ্গম, আনোয়ারা, জীবন থেকে নেয়া, বাহানা।

জহির রায়হানের রচিত প্রথম উপন্যাস শেষ বিকেলের মেয়ে ১৯৬০ সালে প্রকাশিত হয়। তার রচিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো- শেষ বিকেলের মেয়ে, হাজার বছর ধরে, আরেক ফাল্গুন, বরফ গলা নদী, আর কতদিন, কয়েকটি মৃত্যু, একুশে ফেব্রুয়ারি, তৃষ্ণা। গল্পসমগ্র- সূর্যগ্রহণ, সোনার হরিণ, সময়ের প্রয়োজনে, একটি জিজ্ঞাসা, হারানো বলয়, বাঁধ, নয়াপত্তন, মহামৃত্যু, ভাঙাচোরা, অপরাধ, স্বীকৃতি, কতকগুলো কুকুরের আর্তনাদ ইত্যাদি।

হাজার বছর ধরে উপন্যাসের জন্য ১৯৬৪ সালে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এই উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র জাতীয় পুরস্কার পায়। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র কখনো আসেনি মুক্তি পায় ১৯৬১ সালে। ১৯৬৪ সালে কাঁচের দেয়াল চলচ্চিত্রের জন্য তিনি নিগার পুরস্কার লাভ করেন। তার নির্মিত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হলো বেহুলা, সঙ্গম (বাংলাদেশর প্রথম রঙ্গিন চলচ্চিত্র), আনোয়ারা এবং জীবন থেকে নেয়া। স্টপ জেনোসাইড প্রামাণ্যচিত্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে প্রশংসিত হন।

বাংলা সাহিত্যের গল্প শাখায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৭৭ সালে মরণোত্তর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক এবং সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৯২ সালে মরণোত্তর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। চলচ্চিত্রে তার সামগ্রিক অবদানের জন্য ১৯৭৫ সালে ১ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে মরণোত্তর বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা ফিরে আসেন। মিরপুরে তার ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারসহ আরও অনেককে বিহারিরা আটকে রেখেছে বলে খবর পেয়ে ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি সকালে তিনি সেনাবাহিনী ও পুলিশের বহরের সঙ্গে মিরপুর ১২ নম্বরের দিকে যান। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিহারিরা কালাপানি পানির ট্যাংকের সামনে সেনা ও পুলিশ সদস্যদের দিকে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে তিনি নিহত হন। পরদিন ৩১ জানুয়ারি মিরপুর বিহারি ও পাকিস্তানি সৈন্যদের দখলমুক্ত হলেও তার লাশ পাওয়া যায়নি।

সূত্র জাগো

 





মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হচ্ছে আজ, সংগ্রহ করেছেন ২৭৮০ জন

মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হচ্ছে আজ, সংগ্রহ করেছেন ২৭৮০ জন

মনপুরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুই জন গ্রেপ্তার

মনপুরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুই জন গ্রেপ্তার

ভোলা-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীরের মনোনয়নপত্র দাখিল

ভোলা-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীরের মনোনয়নপত্র দাখিল

ভোলার বোরহানউদ্দিনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ যাত্রীর

ভোলার বোরহানউদ্দিনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ যাত্রীর

ভোলায়  যৌথ অভিযানে ১টি বিদেশী পিস্তল ৩টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ২ রাউন্ড কার্তুজসহ আটক-১

ভোলায় যৌথ অভিযানে ১টি বিদেশী পিস্তল ৩টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ২ রাউন্ড কার্তুজসহ আটক-১

লালমোহনে বিএনপির বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

লালমোহনে বিএনপির বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ভোলায় নাজিম উদ্দিন আলম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

ভোলায় নাজিম উদ্দিন আলম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

লালমোহনে সফল বরই চাষি

লালমোহনে সফল বরই চাষি

ভোলা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিমের মনোনয়নপত্র দাখিল

ভোলা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিমের মনোনয়নপত্র দাখিল

সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

আরও...