অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


দৌলতখানে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চেষ্টা


দৌলতখান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৮ই জুন ২০২১ রাত ১১:৩৯

remove_red_eye

৬২৯

৪২ শিক্ষার্থীর টাকা দু’টি মোবাইল নাম্বারে হাতিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা ফাঁস

 দৌলতখান প্রতিনিধি : ভোলার দৌলতখানের ৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪২ জন শিক্ষার্থীর ২০২০ সালের (জুলাই-ডিসেম্বর) ৬ মাসের উপবৃত্তির ৩৭ হাজার ৮০০ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা চুড়ান্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে এ জালিয়াতির প্রমান মিলেছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মার্কেটে পরিচালিত ইন্টারনেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অর্না নেটের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক উপজেলাধীন হাজিপুর এসএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন মিঠু। ওই প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার অপারেটর মো: সাব্বির হোসেন নিজের ও তার মায়ের এনআইডি ও মোবাইল নাম্বার শিক্ষার্থীদের নামের বিপরীতে বসিয়ে দিয়ে নিজেদের মোবাইলে টাকা পেতে এ জালিয়াতি করেছেন। আর এ কাজটি সম্পাদন করেছেন ওই ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা এন্ট্রি করার সময়। বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে দৌলতখান মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম রামরতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুকদেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দিদারুল্যাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর পদ্মা রেজি: প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বামনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ২০২১ সালের উপবৃত্তির কাজ করতে গিয়ে বিষয়টি ধরা পড়ে। এসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ জানান, ২০২১ সালের উপবৃত্তির তালিকা ইন্টারনেট থেকে বের করতে গিয়ে ২০২০ সালের তালিকাও সাথে চলে আসে। দুই সালের তালিকা যাচাই করতে গিয়ে এ জালিয়াতি দেখতে পান। জালিয়াতির শিকার বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের অভিযোগ, অর্না নেটের মালিক শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন ছাড়া বিদ্যালয়গুলোর পাসওয়ার্ড, ইএমআইএস কোড অন্য কারও জানা থাকার কথা নয়। ৪২ জন শিক্ষার্থীর নামের সাথে সাব্বির ও তার মা ছায়েরা খাতুনের মোবাইল নাম্বার যথাক্রমে- ০১৫৮০৭২৩১০৯, ০১৬০৯৫৪৭৪১৬ এবং তাদের এনআইডি যুক্ত হলো কিভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে সাব্বির বলেন, আমাকে সাজ্জাদ হোসেন মিঠু স্যার মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। আমাকে ফাঁসাতে তিনিই এ কাজ করেছেন। এ অভিযোগ অস্বীর করে সাজ্জাদ হোসেন মিঠু বলেন, সাব্বির অন্যত্র কাজ করবে বলে স্বেচ্ছায় আমার প্রতিষ্ঠানের কাজ ছেড়ে দিয়েছে। সে’ই এ কাজ করেছে। তাকে মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীণ। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: হোসেন বলেন, ঘটনা সম্পর্কে শিক্ষকরা তাকে অবহিত করেছেন। বিষয়টি সংশোধনের চেষ্টা চলছে।