অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাশনে মামলা চলমান অবস্থায় জেনারেল হাসপাতালের নামে জমি দখলের পায়তারা


চরফ্যাসন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮শে জানুয়ারী ২০২১ রাত ০৮:৫১

remove_red_eye

৬০৫



চরফ্যাশন  প্রতিনিধি : চরফ্যাশনে আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় চরফ্যাশন জেনারেল হাসপাতালের নামে রেকর্ডীয় অন্যের জমি  দখলের পায়তারা লছে৷এ ব্যাপারে গত ১৯জানুয়ারি ২১ তারিখে  জমির প্রকৃত মালিকানা দাবি করে আবু জাহের তালুকদার বাদি হয়ে চরফ্যাশন যুগ্ন জজ (২য়) আদালতে বিবাদি মোঃমিজানুর রহমান,ইকবাল হোসেন, দিলারা বেগম, মোস্তাফিজুর রহমান ও নাজমাকে বিবাদি করে বিগত  ১৮-১-২১ তারিখে পৃথক ৪ দলিলে ৩৫.৫০ শতাংশ জমির দলিল বাতিলের জন্য দেওয়ানী ৫৫-২০ইং নং মোকদ্দমা দায়ের করেন৷
বিরোধীয় জমিতে গত ২৬ জানুয়ারি বিবাদিরা  প্রভাব বিস্তার করে জমি নিয়ে চলমান মামলা গোপন রেখে চরফ্যাশন জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি সেবামুলক প্রতিষ্ঠানের নামফলক  স্থাপন করে। এরপর বিরোধীয় জমিতে জোড়পূর্বক  পাকা স্থাপনা বন্ধে  মামলার বাদি আবু জাহের তালুকদার (২৮ জানুয়ারি) বৃহ¯পতিবার চরফ্যাশন যুগ্ম জজ আদালতে  আদেশের জন্য একটি আবেদন করেছেন৷ মামলার বিবরনে জানা যায় ১৯৫৯ সালে তৎকালীন বরিশাল ২য় সাব জজ আদালতে দেওয়ানী মোকাদ্দমা ২৩৭-৫৯ ইং সনে মুকবুল আহম্মেদ খান ও আবুল হাশেম মাস্টার কে বিবাদী করে সন্তোষ কুমার গং রা বাদী হয়ে ১৫ একর ০৭ শতাংশ জমি ৩০
-৯-৫৯ ইং সনে ২৩৭-৫৯ ইং মোকাদ্দমায় চুড়ান্ত রায়ে  ডিগ্রী অনুবলে মুকবুল আহম্মদ খান ও আবুল হাশেম মাস্টারের নামে ৫৪ ধারায় ৩৫৭১এফ-৫৯ মিসকেইচে বিগত ২রা জানুয়ারি ১৯৬১ সনে এস,এ ২৮০ নং খতিয়ানে ১৫ একর ৭ শতাংশ জমি আট আনা অংশ হারে মুকবুল আহম্মদ খান ও আবুল হাশেম মাস্টারের নামে রেকর্ড হয়৷ এরমধ্যে এলএ কেইসে ৪৭- ৬৪-৬৫ ইং সনে চরফ্যাশন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নামে ৩ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়৷ পাউবির নামে একুজেশনের পরে ৩ একরের জমির টাকা মুকবুল আহাম্মদ খান ৩০-০২-৬৬ ইং তারিখে ৯০৮১ নং চেকের মাধ্যমে গ্রহন করেন৷   উক্ত জমির ১৯৬০ সনে  মুকবুল আহম্মদ খান ৩টি সাফ কবলা দলিলে ২ একর জমি নজাম উদ্দিন গং দের নিকট  বিক্রি করে।এবং আরও কিছু দলিলে তিনি ওতার ওয়ারিশগন বাকি জমি বিক্রি করে নিঃশর্তবান হয়ে যায়। মকবুল আহাম্মদ এর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী জয়গুন বিবি কে ১৫.০৭ একর জমির মালিক দাবী করে৷
মামলার বাদি আবু জাহের তালুকদার বলেন, উক্ত জমির মালিকানা স্বত্ব নেই মুকবুল আহম্মদ খানের কোন ওয়ারিশদের । তাছাড়া আমাদের বিক্রিত জমির দলিল ও মিজান দিলারা গং দের আগের। অপরদিকে এই জমির এ ভুয়া দলিল এর সকল দাতাগন ২০০৭.২০০৮ ও ২০০৯ সালে হাসেম মাস্টার এর   ওয়ারিশদের নিকট  থেকে ৩টি দলিলে কিছু জমি খরিদ করেন। তারা কি করে অন্য কাউকে এ জমির মালিক দাবী করে? মামলার পরে অতি স¤প্রতি প্রধান বিবাদি  নজরুল ইসলাম খান মিন্টু মারা যাওয়ার পর উক্ত জমিতে অন্যান্য বিবাদি তৎপর হয়ে ওঠে৷ পরে গত ২৬ জানুয়ারি চরফ্যাশন জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি  নামফলন উন্মোচন করে বিরোধীয় ও চরফ্যাশন আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় কিছু ক্ষমতাশীন ব্যক্তির ছত্রছায়ায় জমি দখলের অনর্থক পায়তারা চালাচ্ছে বলেও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।