অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


গবেষণা প্রতিবেদন: ভোলাসহ উপকূলের ৯ জেলায় দেশের সর্বোচ্চ ইলিশ ধরা পড়ে


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১শে ডিসেম্বর ২০২০ রাত ০৯:৪০

remove_red_eye

৭২১

বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক : অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে টেকসই মৎস্যস¤পদ বিনির্মাণেনারীর অংশগ্রহণের বিকল্প নেই এবং তাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন আবশ্যক। বাংলাদেশে নারীদের জন্য যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সেই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে জলকৃষি ও মৎস্যচাষের মাধ্যমে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে হবে। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার শহরের একটি কনফারেন্স হলে টেকসই মৎস্যস¤পদ বিনির্মাণে নারীর অংশগ্রহণ এবং নারীর আর্থ সামাজিক উন্নয়ন আবশ্যক শিরোনামের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে এসব কথা বলেছেন- জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ। প্রতিবছর কক্সবাজার থেকে ৩৬ হাজার ৮০০ মে.টন ইলিশ আহরণ হয়। সারাদেশের ৯টি উপক‚লীয় জেলার মধ্যে কক্সবাজার, ভোলা ও বাগেরহাটে সর্বোচ্চ ইলিশ ধরা পড়ে।

র‌্যাংকিংয়ে সারাদেশের মধ্যে কক্সবাজার থেকে ৩৬ হাজার  ৮০০ মে.টন, ১২.৯৩ শতাংশ ইলিশ আহরণ হয়। এবং সারাদেশে মধ্যে কক্সবাজারের অবস্থান পঞ্চম। বরিশাল বিভাগের মধ্যে ভোলা এবং বরগুনা সবচেয়ে বেশি ইলিশ সরবরাহ করে থাকে। গত অর্থবছরে ভোলা থেকে ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৩২ মে.টন এবং বরগুনা থেকে ৭০ হাজার ২৩৭ মে.টন ইলিশ সরবরাহ করা হয়। অন্যদিকে বাগেরহাট হচ্ছে চিংড়ি চাষের অন্যতম প্রধান এলাকা। এ তথ্য গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। কক্সবাজার, ভোলা ও বাগেরহাট এই তিনটি উপক‚লীয় জেলা নিয়ে জরীপ কার্যক্রম চালিয়েছে দেশের অন্যতম বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) কোস্ট ট্রাস্ট। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ হয়েছে- কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল, পিএমখালী, ভোলা সদরের ধনিয়া, ভেদুরিয়া, বাগেরহাট সদরের শরণখোলার যাত্রাপুর, ষাটগম্বুজ ও সাউথখালীতে বসবাসকারী মানুষের প্রায় ৪০ শতাংশ জেলে। এই অনুপাত কক্সবাজারে ৬৬.৯৯ শতাংশ। জরীপকৃত এলাকার মোট পরিবারের মধ্যে জেলে পরিবারের সংখ্যা ৭৯৯৪ টি, যা প্রায় ৩৯.৭৮ শতাংশ। এবং কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে মোট ১১৪০ পরিবারের মধ্যে ৯৫৫ জেলে পরিবার। পিএমখালীতে ৯৮০ পরিবারে জেলে পরিবারের সংখ্যা ৪৬৫ টি। জনসুরক্ষা মঞ্চ কক্সবাজার’র সাধারণ স¤পাদক সাংবাদিক ইমাম খাইরের সভাপতিত্ব ও কোস্ট ট্রাস্টের জেন্ডার এন্ড অ্যাকুয়াকালচার প্রকল্পের সহ-সমন্বয়কারী সোহেল মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক সুব্রত বিশ্বাস, জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ইকরামুল্লাহ চৌধুরী,  কক্সবাজার সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তারাপদ চৌহান, সদর উপজেলা প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা ডা. অসীম বরণ সেন। এতে পিএমখালী ও খুরুশকুলের অর্ধশতাধিক নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। তারা নিজেদেরকে সাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে কোস্ট ট্রাস্টের মতো অন্যান্য সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসার আহŸান জানান।