অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শনিবার, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২রা ডিসেম্বর ২০২৫ রাত ০৮:১৫

remove_red_eye

৮৬

আকবর জুয়েল, লালমোহন : ভোলার লালমোহনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব, অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজির বিপক্ষে ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা) লালমোহন উপজেলা শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকেলে লালমোহন মোল্লা জামে মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে এসে স্থানে শেষ হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ভোলা জেলা আহবায়ক অধ্যক্ষ আবু জাফর মো. মাইনুদ্দিন, লালমোহন উপজেলা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব মো. আলমগীর হোসেন, লালমোহন উপজেলা বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের সহ-সভাপতি মাওলানা মো. নেছার উদ্দিন, লালমোহন উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতা মো. মাহাবুব আলম প্রমুখ। 
এসময় বক্তারা বলেন, গত ৩০ নভেম্বর দৈনিক কালবেলা পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ছিলো মিনিষ্ট্রি অডিটে ঘুষের রেট এক মাসের বেতন। বছরে ৫০ কোটি টাকা ঘুষের লেনদেন। উক্ত পত্রিকার কাটিং শেয়ার করে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজি তার ফেসবুকে শেয়ার করেন। উক্ত পত্রিকা শেয়ার করার কারণে মন্ত্রণালয় থেকে মিনিষ্টি অডিটের নিয়ম ভঙ্গ করে অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজির প্রতিষ্ঠান মিনিষ্টি অডিটের জন্য ৪ সদস্য কমিটি এবং দুইদিনব্যাপী অডিট করা সিদ্ধান্ত নেন মন্ত্রণালয়। বিষয়টি অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজিকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে বলে বক্তারা মন্তব্য করেন। 
বক্তারা আরো বলেন, আমরা মিনিষ্ট্রি অডিটের বিপক্ষে নই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। পূর্বে, মিনিষ্ট্রি অডিট হতো দশ বছর পরপর এবং একই উপজেলার একত্রে আট থেকে দশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং দুইজন কর্মকর্তা একদিনে দুই তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অডিট করতো। কিন্তু অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজির প্রতিষ্ঠানটি শুধু অডিট করা হবে এবং চার জনে দুই দিনে। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালে মিনিষ্ট্রি করা হয়েছে। পুনরায় ২০২৯ সালে হওয়ার কথা। এতে  আমাদের কাছে বিষয়টি দুরভিসন্দিমূলক মনে হচ্ছে। যদি কোনো দুরভিসন্দিমূলক ভাবে অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজির প্রতিষ্ঠান অডিট করা হয়, তাহলে এরচেয়ে আরো কঠিন আন্দোলন করা হবে। 
বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, সহপ্রধান, শিক্ষক ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করে।  


মোঃ ইয়ামিন