অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ই পৌষ ১৪৩২


৬ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি ও গণমিছিলের ঘোষণা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩রা নভেম্বর ২০২৫ বিকাল ০৫:১৫

remove_red_eye

১০৬

      গণভোট-আরপিও বহালসহ ৫ দাবি

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দাবিতে গণমিছিল ও স্মারকলিপি দেওয়ার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আটটি রাজনৈতিক দল।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলের আমির মামুনুল হক।

খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, পাঁচ দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার লক্ষ্যে আমাদের আটটি দলের গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন আমরা আন্দোলনরত সব দল গণমিছিল নিয়ে রাজধানীর পল্টন মোড়ে একত্রিত হবো।

মামুনুল হক জানান, ৬ নভেম্বরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আমরা ১১ নভেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ করবো।

দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের আগের পাঁচটি দাবির মধ্যে নতুন তিনটি দাবি সংযুক্ত করেছি। দাবিগুলো হলো- জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে হবে, জাতীয় নির্বাচনের আগে পৃথকভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট আয়োজন করতে হবে ও সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) বহাল রাখতে হবে।

খেলাফত মজলিসের আমির আরও বলেন, ‘সকালে আমরা শীর্ষ আট দল বৈঠক করেছি। গত দুই মাস যাবৎ আন্দোলন করে যাচ্ছি কিন্তু আমাদের দাবিগুলো মানা হচ্ছে না। দেশের মানুষের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে জুলাই বিপ্লবের অর্জনকে আমরা ত্বরান্বিত করতে চাই। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার ব্যাপারে আন্তরিক। যেই অনুযায়ী অগ্রসর হচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা দেখতে চাই অন্যান্য দল প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে কীভাবে সাড়া দেয়। আশা করি, সবাই বসলে একটা সমাধান হবে। প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর আলোচনার বিষয় ছেড়ে দিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করা যাবে না। প্রধান উপদেষ্টাকে রেফারির ভূমিকা পালন করতে হবে।’

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ রেজাউল করিম, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদসহ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির নেতারা।