অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ই পৌষ ১৪৩২


গণভোট আগে না পরে, এটা বিএনপি-জামায়াতের কুতর্ক : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০শে অক্টোবর ২০২৫ বিকাল ০৩:৩৮

remove_red_eye

৬৮

গণভোট নির্বাচনের আগে হবে নাকি পরে হবে এটি বিএনপি ও জামায়তের কুতর্ক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এই কুতর্কে এনসিপি জড়াবে না বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘রাজনীতির বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গণভোট কি আগে হবে? নাকি পরে হবে? আমরা মনে করি এটা জামায়াতে ইসলাম এবং বিএনপির মধ্যে একটা কুতর্ক। এই কুতর্কের মধ্যে আমরা জড়াবো না। বরং দুই দলেরই উচিত ইলেকশন কমিশনকে শক্তিশালী করা।

নির্বাচন কমিশন ভাগাভাগি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বারবার বলছি, এই ইলেকশন কমিশনের যে কমিশনাররা রয়েছেন কয়েকটি দল থেকে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। এস্টাবলিশমেন্টের অংশে যখন এই ধরনের ভাগ করা হয় এটার প্রত্যক্ষ প্রভাব কিন্তু ইলেকশনের মধ্যেও পড়বে। এখানে যারা রয়েছেন আপনাদেরও এটা নিয়ে কথা বলা উচিত। এই ধরনের কয়েকটি দরের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে যে কমিশনটা গঠিত হয়েছে সেটার অধীনে আসলে কীভাবে সুষ্ঠু ভোট হবে। আপনাদের সঙ্গে বিএনপির খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আপনারা তাদের বিষয়গুলো বলুন যে, আমরা কীভাবে সুন্দর সুষ্ঠু বাংলাদেশে উপহার দেওয়ার জন্য একটি স্বাধীন ইলেকশন কমিশন গঠন করতে পারি।

সনদ স্বাক্ষরের ব্যাপারে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে আমরা যখন জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাইনি, আমাদের রাজনৈতিক অনেক বড় ঝুঁকি আমরা নিয়েছিলাম। কিন্তু আল্লাহর সহায় সে ঝুঁকি থেকে আমরা পরিত্রাণ পেয়েছি। কারণ আমরা বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে আমরা রাজনৈতিকভাবে ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে ঐতিহাসিক একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেই ক্ষেত্রে এখন কমিশন থেকে সুপারিশ এসেছে আমরা সেখানে দাবি করেছি প্রস্তাবনা-১ যেটা রয়েছে সেটার পথে সরকারকে হাঁটতে হবে। এছাড়া সরকারের সামনে বিকল্প কোনো পদ্ধতি থাকা উচিত না।