অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের খতিবকে নিজের ঘরে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকাল ১০:০৪

remove_red_eye

১৭৫

বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক: ভোলা শহরের উত্তর চরনোয়াবাদের নিজ বাড়িতে আমিনুল হক নোমানী নামের এক মাদরাসা শিক্ষক ও মসজিদের খতিবকে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। শনিবার রাত  সোয়া ৯টায় তাকে কূপিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাত ১০ টায় ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আমিনুল হক  ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার শিক্ষক ও সদর উপজেলা পরিষদ পরিষদ মসজিদের খতিব ছিলেন। তার পিতার নাম মাওলানা এনামুল হক।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম চরনাবাদ জামে মসজিদ থেকে এসারের নামাজ শেষ করে  মোঃ আমিনুল হক নোমানী তার বাড়িতে যান। এসময় তার স্ত্রী ও সন্তানরা বাড়িতে ছিলো না। নিহতের স্ত্রী ও তিন সন্তান বেড়াতে গেছে বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে আমিনুল হককে  তার নিজ ঘরের মধ্যে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে যখম করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। এসময়  আমিনুলের ডাক চিৎকার শুনে প্রতিবেশি এক নারী । এসে দেখেন বাড়ির সামনের গেট বন্ধ পেয়ে এলাকার লোকজনকে ডেকে আনে। কিন্তু বাড়িতে প্রবেশের প্রধান গেইট তখন ভিতর থেকে আটকানো ছিলো। এসময় স্থানীয় লোকজন বাড়ির টিনের বেড়া ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে  রক্তাক্ত জখম আমিনুলকে উদ্ধার করে ভোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  নিহতের মাথা, গলা, ঘার,  বুক এবং পেটসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম করা ছিল। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 
সরেজমিনে দেখা যায়, আমিনুল হকের বাসার সামনের প্রথম রুমে (ড্রাইং রুম) সোফা সেটের সামনে মেঝেতে রক্ত পরে আছে। একটি ওয়েব ক্যাম সহ কম্পিউটার অন করা অবস্থায় রয়েছে। টেবিলের উপর তার কম্পিউটারে সামনে একটি ঘরি। অপর টেবিলে তার টুপি পরে রয়েছে। 

এদিকে আমিনুল হকের মৃত্যুর খরবে বিভিন্ন ইসলামিক দলের নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী হাসপাতালে ছুটি আসে। বিচার দাবিতে তাৎক্ষণিক ভোলা সদর রোডে বিক্ষোভ মিছিল করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি  জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আলেম ওলামারা হাসপাতালের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সদর রোড কে. জাহান মার্কেটের সামনে সমাবেশ করেন। এসময়  ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোষী অপরাধী কে গ্রেফতার জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন।তবে এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কোন কারণ এখনো উদ্ঘাটন করতে পারে নি।

ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) আবু শাহদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ নিহতের বিষয় নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশের একাধিক টিম কার্যক্রম শুরু করেছে।


ভোলা সদর ভোলা জেলা মোঃ ইয়ামিন