অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলা -বরিশাল সেতুসহ ৬ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ই জুলাই ২০২৫ রাত ০৮:৩৮

remove_red_eye

২০৩

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার গ্যাগ ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ, ভোলায় সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ভোলা -বরিশাল সেতুসহ ৬দফা দাবি বাস্তবায়নে দাবীতে  অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আবেদন করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আমরা ভোলাবাসী’ নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিন এর মাধ্যমে  আবেদন পত্র প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, আমরা ভোলাবাসী সংগঠনের আহবায়ক গোলাম নবী আলমগীর, যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক,মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, সদস্য সচিব মীর মোশারেফ অমি, সদস্য- মেহেদি হাসান ও শরীফ হাওলাদার।আজ বিকালে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন,আমরা ভোলাবাসী সংগঠনের সদস্য সচিব মীর মোশারেফ অমি।
আহবায়ক ও সদস্যসচিব  স্বাক্ষরিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে,আমরা ভোলাবাসী বিগত আওয়ামী সরকারের আমল থেকে অদ্যাবধি ভোলা বাসীর যৌক্তিক ৬ দফা দাবী বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করে আসছি। আমরা ভেবেছিলাম স্বৈরাচার সরকার জনদাবীর প্রতি অবজ্ঞা দেখালেও অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের যৌক্তিক দাবীগুলি মেনে নেবেন কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এখনো আমাদের দাবী মেনে নিয়ে বাস্তবায়নে কোন পদক্ষেপ নেয় নি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর কয়েকবার স্মারক লিপি প্রদান করি। আমাদের আন্দোলন নিয়ে বিগত স্বৈরাচার সরকার কোন সাড়া না দিলেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মাইনউদ্দিন সাহেব আন্দোলনকারী ভোলাবাসী এর প্রতিনিধি বৃন্দের সাথে গত ১৪ই জুলাই ঢাকাস্থ সেতু ভবনে এবং তার পূর্বে ৮ই মে ২০২৫ইং তারিখ ভোলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠকে মিলিত হন এবং তিনি ভোলাবাসীর দাবীর যৌক্তিকতা উপলদ্ধি করে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার অঙ্গীকার করেন। আমরা আশ্বস্ত ছিলাম আমাদের দাবী দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু তা হয়নি বিধায় তারা পুনরায় দাবীসমূহ এবং দাবীর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।ভোলাবাসীর দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভোলার গ্যাস দিয়ে ভোলায় কল-কারখানা গড়তে হবে, ভোলার ঘরে ঘরে ঘরে গ্যাস দিতে হবে। গ্যাস দিয়ে ভোলায় বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে, কিন্তু সে বিদ্যুত ভোলাবাসী ঠিকমতো পাচ্ছে না। ভোলার সঞ্চালন লাইনে ত্রুটি থাকার কারণে ভোলাবাসীকে অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে। সঞ্চালন লাইন সংস্কার করে ভোলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত দিতে হবে। ভোলার মানুষ এখনও বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। ভোলায় একটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনসহ ভোলার হাসপাতালগুলোতে যতোগুলো পদ আছে, সব শূণ্যপদে চিকিৎসকসেবক-সেবিকা, টেকনিক্যাল পার্সন পদায়ন করতে হবে। ভোলাবাসী ইচ্ছে করলে ভোলার বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারে না। কারণ নদীর কারণে সব সময় লঞ্চ পাওয়া যায় না। এ কারণে ভোলা-বরিশাল সেতু চাই। ভোলায় কোনো মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নাই। দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা হওয়ার কারণে ভোলাবাসী বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারে না। এ কারণে ভোলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চাই! ভোলায় গ্যাসভিত্তিক শিল্প কল-কারখানা, ইপিজেড, ইকোনোমিকজোন গড়ে তুলতে হলে, নদীভাঙন প্রতিরোধ করতে হবে। এ কারণে ভোলার চারদিকে ভোলাকে টেকসই করার জন্য টেকসই বাঁধ চাই! বর্তমানে ভোলার সদর উপজেলার ভোলা সদর উপজেলার ভাঙনকবলিত শিবপুর, ধনিয়া ও রাজাপুর এবং দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নকে রক্ষার জন্য মন্ত্রণালয়ে ৭৩০কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা আছে, সে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন চাই!
স্মারকলিপিতে আরও লিখেছেন- ভোলাবাসী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর আশ্বাসের দ্রুত বাস্তবায়ন চায়। গত ১৪জুলাই প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনউদ্দিন সেতু ভবনে আমরা ভোলাবাসী ব্যানারের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠকে ৬দফা দাবির প্রেক্ষিতে তিনি ভোলার ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক, সেবক-সেবিকা, টেকনিক্যাল পার্সন ও যন্ত্রপাতি প্রদান করবেন। এবং সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানীতে যাঁরা ডিমান্ডনোট অনুযায়ী টাকা প্রদান করেছেন (যার সংখ্যা প্রায় ২হাজার ১৪৫জন) তাঁদেরকে গ্যাস সংযোগ প্রদান করা হবে। ভোলাবাসী তাঁর এই আশ্বাস বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এছাড়াও স্মারকলিপিতে দাবী গুলো বাস্তবায়নের যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করা হয়।


ভোলা জেলা মোঃ ইয়ামিন