অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শনিবার, ১৭ই মে ২০২৫ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


ভোলায় তৃতীয় দিন দুপুর থেকে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার ,যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ই মে ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:৩০

remove_red_eye

৫৮

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় বাস ও সিএনজি চালকদের বিরোধে ডাকা বাস ধর্মঘট প্রায় ৪৪ ঘন্টা পর  আজ মঙ্গলবার  তৃতীয়  দিন দুপুরে প্রত্যাহার করা হয়েছে । এদিকে রবিবার বিকাল থেকে গত দুই দিনের মতো মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভোলা সদরের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা  কামাল  বাস  টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ ৫ রুটে কোন বাস চলাচল করেনি।  এতে ৬ উপজেলার  সাথে জেলা সদরের সহজ যোগাযোগ বন্ধ ছিলো।

এদিকে  রবিবার বিকাল থেকে বাস বন্ধ থাকায় দুর পাল্লার যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম আকার  ধারণ  করে। বিকল্প উপায়ে মাইক্রোবাস, মোটর সাইকেল ও ইজি বাইকে গন্তব্যে পৌছাতে সময়ের পাশাপাশি ভাড়া গুনতে হয় অতিরিক্ত কয়েক  গুন বেশি।
এদিকে দুই পক্ষের বিরোধ মিটিয়ে যাত্রী দুর্ভোগ লাগবে বাস শ্রমিক মালিক ও সিএনজি মালিক পক্ষ কে নিয়ে আজ মঙ্গলবার  দুপুরে জরুরী সভা  জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে  জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ভোলা পুলিশ সুপার মোঃ শরিফুল হক, ভোলা পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো হাচনাইন পারভেজ, ভোলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম খান, সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন, বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মিজানুর রহমানসহ সকল রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতা, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা প্রমূখ।

এতে  প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর ভোলা বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড থেকে ভোলা জেলার বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল শুরু হয়।
এদিকে জেলা প্রশাসনের বিচার শাখা সূত্র ও বাস মালিক সমিতির নেতারা সাংবাদিকদের জানান, কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণে সমঝোতা বৈঠকের পরে শ্রমিক ইউনিয়ন বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে। বৈঠকে প্রায় আটটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভোলার মধ্যে থাকা মহাসড়কে(বরিশাল ভোলা চট্টগ্রাম মহাসড়কের অংশ) কোনো থ্রিহুইলারস চলবে না, তবে আঞ্চলিক মহাসড়কে (ভোলা চরফ্যাশন আন্তমহাসড়ক) চলবে। সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক তাঁর দুইপাশে (সামনে) কোনো যাত্রী নিতে পারবে না। বাস মালিক সমিতির নেতারা, বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মী ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মালিক-শ্রমিক আইন হাতে নিয়ে কোনো কাজ করতে পারবে না। ৪৪৯ টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত সিএনজি চালিত অটোরিকশা ব্যতিরেকে কোনো সিএনজি সড়কে চলতে পারবে না। কোনো ফিটনেসবিহীন ও রুটপারমিটবিহীন বাস যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে না। সনদে উল্লেখিত সিটের বাইরে বাসে কোনো যাত্রী নিতে পারবে না। ধর্মঘটের সময়ে আন্দোলনকারীরা যদি কোনো সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাংচুর করে, সিএনজি মালিক সমিতির নেতারা থানায় মামলা করলে, তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে, বাস মালিক সমিতি ক্ষতিপূরণ করবে।

উল্লেখ্য,রাস্তায় চলাচল ও যাত্রী তোলা নিয়ে  গত রবিবার বিকালে বাস ও অটোরিকশা চালকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে অনির্দিস্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় বাস শ্রমিক ইউনিয়ন। এর আগে আগেও গত ২৭ এপ্রিল এ দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘের্ষর ঘটনায় বাস শ্রমিকরা ভোলা জেলায় বাস ধর্মঘটের ডাক দেয়। প্রায় ২৪ ঘন্টা পর প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।