অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শনিবার, ১৭ই মে ২০২৫ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


হৃদয়বিদারক প্রতারণার গল্প ভোলায় সফলতার পর স্ত্রীকে ত্যাগ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫শে এপ্রিল ২০২৫ রাত ০৯:০৪

remove_red_eye

১৪১

এইচ আর সুমন: সম্পর্ক টা ছিলো মামাতো ফুপাতো ভাই বোন, এর পর ২০১১ সালের শেষের দিকে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ইসমাইল ও আসমা। ইসমাইল ভোলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড বেপারী বাড়ির নুরুল ইসলামের ছোট ছেলে। ইসমাইলের স্ত্রী আসমা একই এলাকার আমির হোসেন ফরাজির মেঝো মেয়ে। ভুক্তভোগী ও প্রতিবেশীরা জানান, আসমা শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিয়ের পর ইসমাইল শশুর বাড়ি থেকে নানান অজুহাতে আসবাবপত্র নগদ টাকা সহ বিভিন্ন সুবিধা নিয়েছেন। ইসমাইল পেশায় দিনমজুর ছিলেন তাই তাদের পরিবারের খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে হতো, এমতাঅবস্থায় ইসমাইলকে শশুর বাড়ি থেকে অটো রিকশা কিনে দেওয়া হয়। এর পর তাদের সংসার জীবন বেশ ভালোই কেটেছিলো। এর পর তাদের ঘরে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। যার বর্তমান বয়স ১২ বছর। এরপর দিন দিন ইসমাইলের চাহিদা বেড়ে যায়, ইসমাইল নিজ ঘর পাকা করতে শশুর বাড়ি থেকে তার স্ত্রীকে টাকা নিতে বাধ্য করে এবং পরবর্তীতে বায়না করে কাজ করতে দেশের বাহিরে যাবে, সেখানে ও তাকে টাকা দিতে হবে। মেয়ের সুখের কথা ভেবে আমির হোসেন ফরাজি তার মেয়ের জামাই ইসমাইলকে নগদ ২ লক্ষ টাকা দেন। এরপর নগদ টাকা ও শশুর কর্তৃক কিনে দেওয়া অটো বিক্রি করে ইসমাইল সৌদি আরব চলে যান। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি ইসমাইলকে। ইসমাইল প্রবাসে থেকে তার বড় ভাই বিল্লাল’কে আর্থিক সহয়তার মাধ্যমে মালোশিয়া পাঠান। ৪ বছর হলো ইসমাইল প্রবাস থেকে বাসায় ফিরেনি। তবে তার স্ত্রী আসমা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারে বেশ কিছুদিন হলো সে প্রবাস থেকে দেশে এসে তার স্ত্রী সন্তানের খোঁজ খবর না নিয়ে, ঢাকায় তার বোনের বাসায় উঠেন। পরে মিথ্যা কথা বলে তার মা মাসুমা বেগমকে ঢাকায় নিয়ে বোনের বাসায় সাক্ষাৎ করে পূনরায় প্রবাস চলে যান। এর পর ইসমাইল মুঠোফোনে স্ত্রী আসমাকে জানায় ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছেলের এমন কর্মকান্ডে মা বলেন, বিয়ের সময় টাকা জমি সহ অনেক দাবি ছিলো, কিন্তু মেয়ে পক্ষ তা পূরণ করেনি। তবে ঘটনা কতটুকু সত্য তা জানতে অভিযুক্ত ইসমাঈলের সঙ্গে কথা বললে তিনি দেশে আসার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার বউ আমার কথা শুনে না তাই তাকে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, সে হাতে পেয়েছে কিনা তা আমার জানা নাই। তাহলে কি এই সকলে সুবিধা ভোগ করার জন্যই আসমাকে প্রতিবন্ধী জেনেও বিয়ে করেছেন ইসমাইল। আসমা ও তার পরিবার প্রশাসনের কাছে, তার সাথে হয়ে যাওয়া অন্যায়ের সঠিক বিচার দাবি করেন।





আরও...