অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ১৪ই এপ্রিল ২০২৫ | ৩০শে চৈত্র ১৪৩১


ভোলায় হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ই এপ্রিল ২০২৫ রাত ০৮:০৫

remove_red_eye

৪২

কর্তব্যরত চিকিৎসকের উপর বিক্ষুদ্ধ স্বজনদের হামলা

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলার ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় মাকসুদুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মৃতরোগীর স্বজন ও বিক্ষুব্দ মানুষ হাসপাতালের ইমারজেন্সির দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার নাইমুল হাসান এর উপর হামলা চালিয়েছে। পরে পুলিশ ভ্যানে করে ওই চিকিৎসককে ঘটনা স্থল থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে সড়িয়ে নেয় । আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রোগীর স্বজনদের অভিযোগ , ভোলার সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নোমো. মাকসুদুর রহমান(৪২) নামে এক রোগী র বুকে ব্যাথা নিয়ে স্বজনরা জুম্মার নামাজের সময় সোয়া একটার দিকে ভোলার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। এ সময় জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু পথযাত্রী রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে জুম্মার নামাজ পড়তে যান। নামজ শেষ হওয়ার অনেক সময় অতিবাহিত হলেও ডাক্তার তখনো অনুপস্থিত। পরে রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে ইমারজেন্সিতে থাকা রাকিব নামে এক ব্রাদার রোগীকে অক্সিজেন মাস্ক পড়ান এবং রোগীর প্রেসার মাপেন।রোগীর অবস্থার আরো অবনতি হলে এক পর্যায়ে ডিউটিরত ব্রাদার কর্তব্যরত চিকিৎসক কে হাসপাতালের বাহিরে থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। ডাক্তার এসে প্রাথমিক অবস্থায় ইনজেকশন দিয়ে পালস চেক করে।এবং কিছু না বলে চলে যান। তারা আরো জানান, আমরা রোগীকে জীবিত অবস্থায় নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখানকার ডাক্তার কাগজে লিখলো রোগী হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন।আর চিকিৎসকের দেরীতে আসা ও  অবহেলার কারনেই এর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।পাশাপাশি তারা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানান। এসব কারণে রোগীর ক্ষুব্ধ স্বজনরা চিকিৎসকের উপর হামলা চালিয়ে লাঞ্চিত করেছে। এ সময় কর্তব্যরত হাসপাতালের কর্মচারীরা চিকিৎসককে বাঁচাতে গিয়েও লাঞ্চিত হয়েছে।  পরে পুলিশ এসে চিকিৎসককে উদ্ধার করে নিরাপদে পাঠান। এবং পরিস্থিতি শান্ত করেন। 


এদিকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শেখ সুফিয়ান ইসলাম সাংবাদিকদের জনানা,আগামীকল সকালে এ ঘটনার বিষয় নিয়ে বসবো। কাগজপত্র দেখে যদি চিকিৎসকের অবহেলা কোনো বিষয় থাকে তাহলে বিধি মোতাবেক যা ব্যবস্থা নিতে হয় নেয়া হবে বলে জানান। ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকের নিরাপত্ত্বার স্বার্থে তাঁরা চিকিৎসককে নিরাপদে নিয়ে এসেছেন।