অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ২৭শে মার্চ ২০২৫ | ১৩ই চৈত্র ১৪৩১


তজুমদ্দিনে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে মাদরাসার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে ছাই


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাত ১২:০৮

remove_red_eye

৬৬

ফখরে আজম পলাশ, তজুমদ্দিন উপজেলা প্রতিনিধি: ভোলার তজুমদ্দিনে রাতে আধারে মাদরাসার গেট ভেঙে দুর্বৃত্তরা চুরির পর আগুন দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র জানায়, উপজেলার পূর্ব গোলকপুর কাছিমুল আলিম মাদরাসায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কেচিগেট ভেঙে মাদরাসার ভেতরে ঢুকে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা লাইব্রেরির টাকার ড্রয়ার ভেঙে ২০-২৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং আলমারিতে থাকা মাদরাসার শিক্ষক নিয়োগের কাগজ, শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট, মার্কশীট ও রেজিস্ট্রেশন কার্ডসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লাইব্রেরির ফ্লোরে ফেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ফজরের নামাজ পড়তে ওঠা নৈশপ্রহরী আগুন দেখে অনেক চেষ্টার পর আগুন নিভাতে সক্ষম হন, তবে ততক্ষণে সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিহিংসা থেকে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়েছে। জানতে চাইলে মাদরাসার নৈশপ্রহরী মো. রুহুল আমিন বলেন, "আমি রাতে মাদ্রাসার ভবনের নিচে একটি রুমে ঘুমিয়ে ছিলাম। সকালে ফজরের নামাজ পড়তে উঠি, তখন দেখি কেচিগেট খোলা। উপরে গিয়ে লাইব্রেরির তালা খোলা এবং ভিতরে আগুন জ্বলছে। পরে অনেক চেষ্টা করে আগুন নিভাই, তবে মাদরাসার সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে গেছে।" মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আইয়ুব আলী বলেন, "আমরা শিক্ষা সফরে চট্টগ্রামে রয়েছি। চুরির বিষয়টি শুনে বান্দরবনে না গিয়ে তজুমদ্দিনের দিকে ফিরে আসছি। মাদরাসার কোচিংয়ের নগদ ২০-২৫ হাজার টাকা শিক্ষকদের জন্য রাখা ছিল, সেই টাকা নিয়ে গেছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা এবং আগুন দিয়ে মাদরাসার সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে দিয়েছে।" তজুমদ্দিন থানার এসআই মাসুম বলেন, "ঘটনার খবর পাওয়ার পর পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মাদরাসার কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"





আরও...