অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫ | ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২


জুলাই গণঅভ্যুথানে পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগও আক্রমণে অংশ নিয়েছিল


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাত ০৮:২৭

remove_red_eye

১০৫

বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক : ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সমর্থকরাও লোকজনকে থামিয়ে তল্লাশি চালিয়েছিল, বিক্ষোভকারীদের আটক করেছিল এবং সংগঠিত পূর্বপরিকল্পিতভাবে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছিল। সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের রিপোর্টে বিষয়টি উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনেভুক্তভোগী প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য এবং ছবি ভিডিও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, ওএইচসিএইচআর নিশ্চিত হয় যে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে সশস্ত্র আওয়ামী লীগ সমর্থকদের একটি সম্প্রসারিত দল পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে বা ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল। তারা বিক্ষোভ দমনের জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে ব্যাপকভাবে বেআইনি সহিংসতায় লিপ্ত হয়েছিল।

এতে বলা হয়েছে, অনেক অভিযানে, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশের সহিংস প্রচেষ্টাকে সাহায্য করতে অভিযান শুরুর আগেই সশস্ত্র আওয়ামী লীগ সমর্থকরা পুলিশের সাথে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছিল অথবা পুলিশ ফোর্সের পেছনে থেকে আক্রমণে অংশ নিয়েছিল। পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সমর্থকরাও লোকজনকে থামিয়ে তল্লাশি চালিয়েছিল, বিক্ষোভকারীদের আটক করেছিল এবং সংগঠিত পূর্বপরিকল্পিতভাবে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছিল। বুধবার ( ১২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে, গত জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ওপর শেখ হাসিনা সরকার আওয়ামী লীগ যে দমন-নিপীড়ন হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে এর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) -কে ধন্যবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ওএইচসিএইচআর প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ পুলিশ ওএইচসিএইচআর-কে পুলিশ সদস্য, আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের ৯৫ জন সদস্যের নাম এবং তাদের ভূমিকা কী ছিল তার বিস্তারিত সরবরাহ করেছে।

পুলিশের মতে, এই ব্যক্তিরাই বিক্ষোভের সময় সহিংস হামলায় ব্যবহারের জন্য নাগরিকদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। অস্ত্র সরবরাহ যাদের করা হয়েছিল তাদের মধ্যে ১০ জন তৎকালীন সংসদ সদস্য, ১৪ জন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, ১৬ জন যুবলীগ নেতা, ১৬ জন ছাত্রলীগ নেতা এবং সাতজন পুলিশ সদস্য।

 

গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায়, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটিকোর কমিটি বৈঠক হয়, যেখানে পুলিশ, ্যাব এবং বিজিবি প্রধান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বৈঠকে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে বিজিবি কমান্ডারকে আরও দ্রুত প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেন।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য থেকে আরও জানা যায় যে, এর পরদিন অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নিজেই নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিক্ষোভ দমনের জন্য বিক্ষোভকারীদের হত্যা করতে বলেছিলেন এবং বিশেষভাবেবিক্ষোভের মূল হোতা”, “গন্ডগোল সৃষ্টিকারীদের গ্রেপ্তার, হত্যা এবং হত্যার পর লাশ লুকিয়ে রাখারনির্দেশ দিয়েছিলেন,’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদন তৈরিতে যেই অনুসন্ধানকারীরা কাজ করেছেন তাদের বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘পূর্ববর্তী সরকারের পতনের পর, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা শুরু করেছে। সরকার বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) এবং নিয়মিত আদালতে সে সময়কার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

তবে সরকারের এই প্রচেষ্টা বিভিন্ন মাত্রায় বাধাগ্রস্ত হয়েছে’- উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিচার বিভাগে বিদ্যমান কাঠামোগত ত্রুটির কারণে এই প্রচেষ্টার কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে চলা পুলিশি অসদাচরণ, যেমন গণহারে মামলা দিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের, অভিযোগের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও স্বপদে বহাল থাকা কয়েকজন কর্মকর্তার ক্রমাগত ভয় দেখানো, প্রমাণে কারসাজি সেইসঙ্গে আইসিটি এবং নিয়মিত আদালত সম্পর্কিত অন্যান্য যথাযথ প্রক্রিয়াগত জটিলতা।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি পুলিশ, প্রসিকিউটর এবং বিচারকসহ বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সকলকে আইনের শাসন সমুন্নত রাখার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি অন্তর্বর্তী সরকারে কর্মরত সকল ব্যক্তি এবং কোটি কোটি নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে এমন একটি দেশে রূপান্তরিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে সকল মানুষ নিরাপত্তা মর্যাদার সাথে বসবাস করতে পারবে।

 

 





ভোলায় বাস চালক ও হেলপারের উপর  সিএনজি চালকদের হামলা ,আহত-২

ভোলায় বাস চালক ও হেলপারের উপর সিএনজি চালকদের হামলা ,আহত-২

ভোলায় একদফা দাবীতে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস বজর্ন কর্মসূচি পালিত

ভোলায় একদফা দাবীতে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস বজর্ন কর্মসূচি পালিত

ভোলায় সড়কে চলাচলের উপর শর্ত প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন বিক্ষোভ

ভোলায় সড়কে চলাচলের উপর শর্ত প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন বিক্ষোভ

লালমোহনে পুকুরে মরে ভেসে উঠছে মাছ

লালমোহনে পুকুরে মরে ভেসে উঠছে মাছ

লালমোহনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও মেজর হাফিজের সুস্থতা কামনায় দোয়া

লালমোহনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও মেজর হাফিজের সুস্থতা কামনায় দোয়া

পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবায় আত্মনিয়োগ করুন: প্রধান উপদেষ্টা

পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবায় আত্মনিয়োগ করুন: প্রধান উপদেষ্টা

নেপালের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ সহযোগিতা ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কৌশলের আহ্বান

নেপালের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ সহযোগিতা ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কৌশলের আহ্বান

আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আড়ালে নাটক চলছে: মির্জা আব্বাস

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আড়ালে নাটক চলছে: মির্জা আব্বাস

জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগর নায়েবে আমীর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আজম ওবায়েদুল্লার চরফ্যাসনে দাফন সম্পন্ন

জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগর নায়েবে আমীর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আজম ওবায়েদুল্লার চরফ্যাসনে দাফন সম্পন্ন

আরও...