অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪ | ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


ভোলায় টর্ণেডো ও ঝড়ে দেড় শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত: আহত ৫


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮শে মে ২০২০ রাত ০৮:৫৯

remove_red_eye

৫৭৩

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক:: ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাসন উপজেলায় টর্ণেডো ও ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে প্রায় দেড় শতাধিক ঘর-বাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়েছে। এছাড়াও বিধ্বস্ত হয়েছে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বহু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। গাছ চাপায় আহত হয়েছে ৫ জন।
বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ, রমাগঞ্জ ও লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ টর্ণেডো আঘাত হানে। এতে করে ১০টি গ্রামের ঘর বাড়ি বিধ্বস্থ হয়। এছাড়া টর্ণেডোর আঘাতে ছিঁড়ে যায় বিদ্যুতের লাইন। ফলে ২৪ ঘন্টা ধরে এসব এলাকার বিদ্যুত ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে ।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কয়েকজন সদস্য বলেন, হঠাৎ করে আঘাত হানা ঝড়টিতে তাদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এরমধ্যে কউে কেউ কয়েক মাস আগে নতুন করে ঘর নিমার্ণ করেছেন। তাদের ঘরগুলোও সম্পন্নভাবে বিধ্বস্ত হয়। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। দ্রুত সরকারীভাবে ঘর মেরামত ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদাণের দাবী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর।

এদিকে ঘুর্ণিঝড়ে আহতরা হলেন- নুর ইসলাম, নসু, জসিম, বিল্লাল ও বশির। তাদেরকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে ব্যক্তিগত তরফ থেকে নগদ পাঁচ হাজার করে টাকা ও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ত্রান সহায়তা প্রদান করেন ভোলা-৩ আসনের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। এসময় তিনি বলেন, বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য আরো ত্রান সহায়তা প্রদান করা হবে।

লালমোহন উপজেলা নিবার্হী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি জানান, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোর তালিকা করা হচ্ছে। তাদেরকে ত্রান সহায়তা দেয়া হবে। অপর দিকে জেলার চরফ্যাসন উপজেলাতেও বুধবার রাতে নীল কমল, নুরাবাদ, আমিনাবাদ, আসলামপুরসহ ৪টি ইউনিয়নেও হঠাৎ করে ঝাড়ে তান্ডবে অন্তত অর্ধশতাধিক ঘর বাড়িসহ বহু গাছ পালা বিধ্বস্থ হয়েছে।