অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


সামনের দিনগুলোতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:১৬

remove_red_eye

২৯২

সামনের দিনগুলোতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।

তিনি বলেন, নিজেকে প্রস্তুত করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে প্রশিক্ষণ। সুতরাং অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি সদরদপ্তরে ‘এএসপি প্রবেশনারদের ওরিয়েন্টেশন কোর্সে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সামনের দিনগুলোতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান কাজ হচ্ছে জনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। একটি দেশে যদি শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা না থাকে তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দেশের সার্বিক উন্নয়ন ব্যাহত হয়। অবশ্যই জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এটা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কাজ। আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনশৃঙ্খলা রক্ষার এ চ্যালেঞ্জিং কাজটি আপনাদের করতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে নিহত পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেক কিছু নতুন করে শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট। এটা অনেক বড় প্রতিষ্ঠান। এখানে প্রায় ৩৫ হাজার জনবল রয়েছে। যাদের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরবাসীকে পুলিশি সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

 

সামনের দিনগুলোতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ তিন ধরনের কাজ করে। প্রথম কাজ হলো সমাজে অপরাধ যেন না হয় তার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দ্বিতীয় হচ্ছে ঘটনা ঘটার পর অপরাধের সঠিক কারণ নির্ণয়, অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য তদন্ত ও অনুসন্ধান করা। এই দুই ধরনের কাজকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য তৃতীয় যে কাজটি করা সেটা হচ্ছে ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহ করা। এই ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহের কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষের কাছে না গেলে ইন্টেলিজেন্স পাওয়া যাবে না। তাই আপনাদের মানুষের কাছাকাছি যেতে হবে।

‘যত মানুষের কাছাকাছি যাবেন তত ইন্টেলিজেন্স পাবেন। আর যত ইন্টেলিজেন্স পাবেন অপরাধ প্রতিরোধে তত বেশি কাজে লাগবে’- বলেও জানান মাইনুল হাসান।

 

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলীসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।