লালমোহন প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১ই জুলাই ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:১৫
৮৮
লালমোহন প্রতিনিধি : গৃহবধূ মোসা. তাসলিমা বেগম (২২)। কয়েক মাস আগেও স্বামী-কন্যাশিশুকে নিয়ে হাসিখুশি দিন পার করেছেন তিনি। তবে হঠাৎ করেই যেন তার জীবনে নেমে আসে কালো মেঘের আঁধার। গত ২৯ এপ্রিল সকালে হঠাৎ আকস্মিক বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান তার স্বামী মো. হেলাল। তিনি পেশায় ছিলেন অটোরিকশায় করে একজন ভ্রাম্যমান মাছ বিক্রেতা। ভোলার লালমোহন উপজেলার নবগঠিত মোতাহারনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কচুয়াখালী আবাসনের বাসিন্দা ছিলেন হেলাল। তার মৃত্যুর পর থেকে গৃহবধূ তাসলিমা বেগমের শুরু হয়েছে নিদারুণ কষ্ট। তার ওপর তো আবাসনের ভাঙা ঘরের দুর্বস্থা রয়েছেই।
গৃহবধূ তাসলিমা বেগম জানান, স্বামী বেঁচে থাকতে মোটামুটি খেয়ে-পরে ভালোই ছিলাম। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে আড়াই বছরের ছোট্ট একজন কন্যা শিশুকে নিয়ে খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি। এখন তিন বেলা খেতেই কষ্ট হচ্ছে। ছোট্ট মেয়ে বিভিন্ন জিনিসের বায়না ধরে। মেয়েটার সেই বায়নাও মেটাতে পারছি না। মেয়েটাকে কিভাবে বড় করবো, তার ভবিষ্যৎ কী হবে তা-ই ভেবে পাচ্ছি না। এছাড়া ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে আবাসনের যেই ঘরটিতে রয়েছি তাও খুব জরাজীর্ণ। একটু বৃষ্টি হলেই ঘরের ভেতরে পানি পড়ে। রাতে বৃষ্টি হলে কষ্ট বাড়ে অনেক। কারণ তখন ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে নির্ঘুম থাকতে হয়। এই অবস্থায় চরম দুর্ভোগ সঙ্গী করে বেঁচে রয়েছি। আমি সংশ্লিষ্টদের কাছে এই ঘরটি মেরামত এবং আর্থিক সহায়তাসহ চাল বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ করছি।
গৃহবধূ তাসলিমার শাশুড়ি আয়াতুন্নেছা বলেন, আমার ছেলে বেঁচে থাকতে নিজের সংসার চালানোর পাশাপাশি আমাদেরও প্রায় সময় সহযোগিতা করতো। তার মৃত্যুর পর থেকে আমার পুত্রবধূ এবং নাতনি খুবই অসহায় হয়ে পড়েছে। আমাদের অবস্থাও তত ভালো না। আমার স্বামী ক্ষেতে-খামারে কাজ করেন। ওই কাজের বিনিময়ে যে অর্থ পান তা দিয়েই চলছে আমাদের সংসার। তবুও পুত্রবধূ ও নাতনির কোনোভাবে খেয়ে দিন পার করতে সাধ্যের মধ্যে তাদের চালসহ অন্যান্য জিনিসপত্র দিচ্ছি।
ওই গৃহবধূর ভাসুর মো. জাহাঙ্গীর জানান, আমার ভাই বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছে। তবে তার স্ত্রী এবং একজন কন্যা সন্তান রয়েছে। ভাইয়ের মৃত্যুর পর থেকে তারা এখন ভীষণ কষ্টে দিন অতিবাহিত করছে। আমি সরকারের কাছে আমার মৃত ভাইয়ের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।
গৃহবধূ তাসলিমা বেগমের প্রতিবেশী ফজিলাতুন্নেছা, শেফালী এবং এনায়েত হোসেন বলেন, হেলাল ভালোই ছিল। সে যে কাজ করতো তা দিয়ে দিন এনে দিন খেয়ে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে কিছুটা ভালো ছিল। তবে তেমন কোনো সম্পদ বা সঞ্চয় রেখে না যাওয়ায় তার মৃত্যুর পর থেকে স্ত্রী-সন্তান চরম অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছেন। এমন অবস্থায় তাদেরকে সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, আমরা বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়া ওই যুবকের পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
ভোলার ইলিশায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সফলতা উদযাপন
দৌলতখানে নির্মাণের চার বছরেও চালু হয়নি আধুনিক কাঁচা বাজার
ভোলায় বিনামূল্যে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকা পাবে ১ লাখ ১৬ হাজার কিশোরী
ভোলায় স্পিডবোটে দিয়ে মেঘনায় মাছ ধরতে গিয়ে দুই শিকারী আটক
লালমোহনে এইচপিভি টিকা পাবে ১৯ হাজার ৬৭৭ জন
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডিজিটালাইজেশনের ওপর জোরারোপ প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, আজারবাইজানকে আহ্বান রাষ্ট্রপতির
প্রকল্প বাস্তবায়নে অপচয় রোধ করুন : নাহিদ ইসলাম
পুলিশের মধ্যে এখনো নৈতিক অবস্থান ফিরে আসেনি: আসিফ মাহমুদ
আমরা পার্শ্ববর্তী দেশের গোলাম হয়ে থাকতে চাই না: হাফিজ
ভোলায় পাঁচ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
ভোলায় বিষের বোতল নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা
উৎসবের ঋতু হেমন্ত কাল
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
ভোলার চরফ্যাশনে করোনা উপর্সগ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক
ভোলায় ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও ৬ জনের করোনা শনাক্ত