যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ দুর্ঘটনার আশংকা
বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক : সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মেঘনা নদীর ডেঞ্জার জোনের ভোলা - লক্ষ্মীপুর নৌ রুটে চলছে ফিটনেস বিহীন অবৈধ নৌযান। পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপদ নৌযান না থাকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডেঞ্জার জোনে ছোট ছোট লঞ্চ, ট্রলার ও স্প্রীড বোটে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। ঝূঁকিপূর্ণ পারাপারে কারণে নৌ দুর্ঘটনা আশংকা থাকলেও স্থানীয় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অবৈধ এসব নৌযান বন্ধে কার্যকরী নেই কঠোর কোন পদক্ষেপ। ফলে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই প্রতিদিনি উত্তাল মেঘনা পাড়াপাড় হচ্ছে শত শত যাত্রী। এতে করে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বছরের ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৮ মাস ভোলার মেঘনা নদীর ইলিশা থেকে হাতিয়া পর্যন্ত প্রায় ১১০ কিলোমিটার এলাকাকে ডেঞ্জারজোন হিসেবে চিহ্নিত করে সি সার্ভে ছাড়া সকল ধরনের অনিরাপদ নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞাজারী করা হয়েছে। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃর্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে ভোলা জেলার উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় দিয়ে চলছে ফিটনেস ও অনুমোদনবিহীন যাত্রীবাহী ছোট ছোট কাঠের নৌযান,স্পীড বোট , ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। ভোলা-লক্ষীপুর রুটে দু’টি লঞ্চ ও ৪ টি সি-ট্রাক সরকারি অনুমোদন নিয়ে চলাচল করলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম। দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার সাথে বন্ধর নগরী চট্টগ্রামের সাথে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হওয়ায় প্রতিদিন এ রুটে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়ত করে। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক নির্ভর যোগ্য যান থাকায় প্রায় প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা বাধ্য হয়ে অবৈধ ট্রলার ও স্পীড বোট যোগে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিচ্ছে। শুধু ভোলা-লক্ষীপুর রুটই নয় ভোলার ডেঞ্জার জোনে বিভিন্ন এলাকায় দিয়ে বিভিন্ন রুটে চলছে এসব অবৈধ নৌযান । সরকরি নির্ভরযোগ্য কোন নৌযান না থাকায় বাধ্য হয়েই জীবনবাজী রেখে যাত্রীরা আল্লাহর উপর ভরসা করে যাতায়ত করছে। তাই এসব রুটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপদ লঞ্চ ও সি-ট্রাক চালুর দাবি জানান যাত্রীরা । ভোলা স্বার্থ রক্ষা উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ অপু বড় ধরনের দুর্ঘটনা রোধে ভোলা-লক্ষীপুর রুটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সি-ট্রাকসহ নির্ভরযোগ্য নৌ-যান দেয়ার দাবী জানান।
এদিকে ভোলাকোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশান্স অফিসার লেফটেন্যান্ট সাকিব মেহেবুব জানান,ডেঞ্জার জোনে নৌযান চলাচল বন্ধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে জানায় কোস্টগার্ড। পাশাপাশি মেঘনায় অবৈধ নৌযান বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।
ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, অবৈধ এসব নৌযানের মাধ্যমে মানুষকে বিপদে ফেলার কোন সুযোগ নেই । অবৈধ নৌযান বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।