বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯শে নভেম্বর ২০২৩ রাত ১০:৫০
৯৩
দুচিন্তায় কৃষকরা দিশেহারা
হাসিব রহমান : আর মাত্র ৩ সপ্তাহ পরেই কথা ছিলো পাকা সোনালী ধান কেটে ঘরে তুলবে। ধার দেনা পরিশোধ করে লাভের মুখ দেখবে। কিন্তু শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় মিধিলি'র তান্ডবে ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্ত মুন্সি গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন ব্যাপারী ৬ গন্ডা জমির আমন ধান এখন পানির নিচে পচে যাচ্ছে। একই এলাকার কৃষক মোঃ মাকসুদ কবিরাজ জানান, তিনি এক একর জমিতে শীতকালিন আগাম লালশাক, পালং শাক, ধনেপাতা, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজি আবাদ করেন। তিনি ধার দেনা করে লাভের আশায় সবজি আবাদ করেন। কিন্তু সব ফসসের অঙ্কুর মাটির সাথে মিশে গেছে। ভোলার কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চরে কৃষক সাহাবুদ্দিন জানান, তিনি ৬ এক জমিতে ৭ লাখ টাকা ব্যয় করে তিনি ক্যাপসিক্যাম,শাসা, চিচিংগাসহ বিভিন্ন সবজি আদাদ করেন। তার পুরো ক্ষেতের রকমারি ফসল যখন বড় হয়ে উঠবে তখন ঝড়ে সব নষ্ট হয়ে গেছে। তাদের মতো এমন কয়েক হাজার কৃষকের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ভোলা কৃষি বিভাগের মতে, প্রাকৃতি এই দুর্যোগ ঘর্ণিঝড়ে ভোলা জেলায় ৩৫ হাজার ১৮০ কৃষকের ৪ হাজার ৩২৩ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে করে চরম দুচিন্তায় কৃষকের চোখের ঘুম হারাম হারাম গেছে।
গত শুক্রবার দ্বীপ জেলার ভোলার উপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। আবহাওয়া অফিসে রেকর্ড অনুযায়ী ওই দিন শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ভোলায় ২৫৫.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়। মিধিলির প্রভাব কেটে গেলেও ভোলা জেলা জুড়ে তার ক্ষতির চিহ্ন রয়ে গেছে। ভোলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষকের ক্ষেতের কাঁচা পাকা ধান পানির ডুবে রয়েছে। আবার আবার অনেকের লাল শাক,পালং শাক,ধনেপাতা,মূলা সহ বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি ক্ষেতের চারাগুলো অংকুরেই বিনষ্ট হয়ে গেছে। প্রকৃতির এমন বিরুপ আচরনে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে ভোলার কৃষকরা। অনেক কৃষক ধার দেনা করে ফসল আবাদ করে। তারা এখন মাথায় ঋণের বোঝা নিয়ে হতাশায় জর্জরিত । কিভাবে এই ঋণ শোধ করবে তার উপায় খুঁজে পাচ্ছে না। ধার দেনা পরিশোধের চিন্তার ছাপ এখন তাদের চোখে মুখে। তারা বলছে, সরকারি সহায়তা না পেলে তাদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।
ভোলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ভোলা জেলায় ২ হাজার ৯০ হেক্টর জমির আমন ধান, ২৮৮ হেক্টর জমির সরিষা , ১ হাজার ৬১৪ হেক্টর জমির খেসারি ডাল, ৪০ হেক্টর জমির গম , ১ হেক্টর জমির পান ও ২৯০ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি ক্ষতি হয়েছে । টাকার অংকে এই ক্ষতি পরিমাণ ৮০ কোটি ৭৫ হাজার কোটি টাকা। ভোলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ হাসান ওয়ারেসুল কবির ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ক্ষেত থেকে দ্রæত পানি নিষ্কাশনের জন্য পরামর্শ দেন।
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান, কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি তালিকা তৈরির কাজ চলছে । তাদের প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
লালমোহনে গাছের আঘাতে যুবক নিহত
২ ডিসেম্বর ১৯৭১: পিছু হটতে থাকে হানাদার বাহিনী
লালমোহনে ইয়াবাসহ এক যুবক আটক
প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয় : প্রধানমন্ত্রী
ইসি’র সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের আস্থা রয়েছে : ওবায়দুল কাদের
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ॥ সমুদ্রবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত
বাংলাদেশ আইএমও'র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
সকল প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে : অতিরিক্ত সচিব
সকল অপশক্তি মোকাবিলায় ছাত্রলীগকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে: এনামুল হক শামীম
ভোলায় পাঁচ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
ভোলার চরফ্যাশনে করোনা উপর্সগ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক
উৎসবের ঋতু হেমন্ত কাল
ভোলায় ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও ৬ জনের করোনা শনাক্ত
ভোলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আরো ১০ জন করোনা আক্রান্ত