অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ৩রা ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩০


ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ভোলায় মৎস্য সম্পদের কোটি টাকার ক্ষতি


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯শে নভেম্বর ২০২৩ রাত ১০:১১

remove_red_eye

১২৮



 ট্রলার ডুবিতে ১ জেলে এখনো নিখোঁজ


মলয় দে/ আমির হোসেন : ভোলায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে মানুষের ঘরবাড়ি, ধান, রবিশস্যের পাশাপাশি জেলেসহ মৎস্য স¤পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ট্রলার ডুবিতে একজন জেলে নিখোঁজে রয়েছে। মৎস্য বিভাগের হিসাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এক কোটি ৯৭ হাজার টাকা।
জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, জেলায় ৮ টি ইউনিয়নের ৪৭টি দিঘি,২টি ঘের এর ২.২৮ মেট্রিক টন মাছ ও ৩.০৬ লক্ষ পোনা ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে মাছের  আনুমানিক বাজার মূল্য ১৮ লক্ষ ৬ হাজার ও পোনার ৬ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। এছাড়াও এই ঘূর্ণিঝড়ে মাছ ধরার ৩১টি ট্রলার  এই ক্ষতির সমুক্ষিন হয়। যার আনুমানিক ক্ষতি ৭০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে এবার ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১ কোটি ৯৭ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানায় মৎস্য বিভাগ।


জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, জেলার ৭ উপজেলায় কম বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এর মধ্যে সদর উপজেলার ৩টি, দৌলতখানের ২টি,চরফ্যাশনের ৩টি ইউনিয়ন বেশী ক্ষতির মুখে পড়ে।ভোলা সদর উপজেলার ১২টি পুকুরের ৬ লক্ষ ৫ হাজার টাকা, দৌলতখানের ৬টি পুকুর ও ২ টি ঘের এর ১ লক্ষ টাকা ও চরফ্যাশনে  ২৯ টি পুকুর এর ১৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মাছের ক্ষতি হয়। তিনি আরো জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে ৩১টি মাছ ধরার ট্রলারের মধ্যে দৌলতখান উপজেলায় ২টি ট্রলারে ৫০ হাজার ,তজুমদ্দিনে ১টি তে ১ লক্ষ ২০ হাজার , চরফ্যাশনে ১৮টি ট্রলারে  ৫৭ লক্ষ ও মনপুরায় ১৬টি ট্রলারে ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। তজুমুদ্দিন উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে ১ জন জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তবে সরকারি এই হিসাবের বাইরেও ভোলা সদরের রাজাপুর ও ইলিশা মেঘনা নদীর তীরে অন্তত ২০ জেলে নৌকা ও ট্রলার বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, রাজাপুর ইউনয়নের গিয়াস উদ্দিন, কাসেম মাঝি,রাকিব,রাজ্জাক মৃধা,সাবু পালোয়ান,মোহাম্মদ হোসেন ডালি,রিয়াজ,হেল্লাল মাঝি,ইউনুস মাঝি,সবুজ মাঝির জাল ও নৌকার নদীর ঘাটে ঝড়ের তান্ডবে বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষতি হয়েছে।