অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ৩রা ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩০


ভোলায় মিধিলি'র তান্ডবে ঝালমুড়ি বিক্রেতার বসতঘর ল্ডভন্ড


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ই নভেম্বর ২০২৩ রাত ১১:১২

remove_red_eye

১২০

মোঃ ইসমাইল : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় 'মিধিলি' আঘাতে উপকূলীয় জেলা ভোলাশ প্রায় পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ 'মিধিলি'র তান্ডব থেকে রেহাই পায়নি ঝালমুড়ি বিক্রেতার বসতঘরও। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেছে কিন্তু রয়ে গেছে এর ক্ষত চিহ্ন।

ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আব্দুল হাই জানান,  শুক্রবার বাতাসে তার বসতঘরের উপর একটি নারিকেল গাছ পালায় এতে তার বসতঘর ভেঙে যায়। কিন্তু ঘরে থাকা তার তিন সন্তান ও স্ত্রীর কোনো ক্ষতি হয়নি।
ঘর হারিয়ে মানুষিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন ঝালমুড়ি বিক্রেতা আব্দুল হাই। তিনি আরও জানান, বাজারে বাজারে হেটে হেটে ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন তিনি। এতে যা আয়ে হতো তা দিয়ে চলতো তার সংসার। ঘূর্ণিঝড়ে ঘর ভেঙে যাওয়া তিনি এখন চিন্তায় আছেন সন্তানদের নিয়ে কোথায় থাকবেন। তার কাছে কোন জমানো টাকা না থাকায় ভাঙা ঘরও মেরামত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ঝালমুড়ি বিক্রেতা আব্দুল হাই ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মনিরাম বাজারে পূর্ব পাশে বেপারী বাড়ির মৃত নাম মনির আহমেদের ছেলে।

ঘূর্ণিঝড় মিধিলীর আঘাতে বৃদ্ধ সোলেমান দরবেশের ঘরেও ভেঙে গেছে। এতে তিনি ঘরটি মেরামতের জন্য সমাজের বিত্তবানদের ও সরকারের সহযোগিতা চান। সোলেমান দরবেশ বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম মৌলভী বাড়ির বাসিন্দা।

ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান,  প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করা হলোও চূড়ান্ত তালিকার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যাদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে তাদেরকে সহায়তা করা হবে।