অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ৩রা ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩০


ভোলায় নদীতে ধরা পড়ছে প্রচুর পাঙ্গাশ মাছ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩রা নভেম্বর ২০২৩ রাত ১০:৩৮

remove_red_eye

১১৪

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক :  ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শুক্রবার সকাল থেকে আবারও মাছ ঘাটে ও জেলে পল্লীতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। নতুন উদ্যোমে জেলেরা ইলিশ শিকারে মেতে উঠেছে। যদিও জেলেরা বলছে,৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে নদীতে নেমে কাঙ্খিত ইলিশ না পেলে তাদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমান পাঙ্গাশ মাছ। এতে তাদের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফুটে উঠেছে। তারা আশা করছে কিছু দিনের মধ্যে প্রচুর পরিমান ইলিশও পাবে।
শুক্রবার সকালে ভোলা সদর উপজেলা ইলিশা ফেরিঘাট সংলগ্ন মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, উৎসব মুখর পরিবেশে হাক ডাক দিয়ে আড়ৎদার ও পাইকাররা জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনছে। একটু পর পর জেলেরা নৌকা-ট্রলার নিয়ে ঘাটে এসে মাছ বিক্রি করে আবার নদীতে ফিরে যাচ্ছে। ইলিশাঘাট ছাড়াও ভোলার শতাধিক মাছঘাটে চলছে মাছ বেচা কেনার ধুম। কিন্তু জেলেরা বছছে,তাদের জালে আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ছেনা। দু' চারটি যা ধরা পড়েছে তা আকারে ছোট।  ইলিশ ছাড়াও অন্যান্য মাছ বেশি ধরা পড়ছে। বিশেষ করে প্রচুর পরিমান পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়ায় জেলেরা খুশি। এক একটি পাঙ্গাশ মাছ ১৫ থেকে ২০ কেজি ওজনের। ঘাট জেলেরা মৎস্যব্যাবসায়ী আড়ৎদারগনের কাছে বিক্রি করছে কেজি প্রতি ৫ শত টাকা থেকে সাড়ে ৫ শত টাকা দরে। আড়ৎদারগন এসব মাছ কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থনে বিক্রির জন্য পাঠাবে বলে জানান।
 মৎস্যজীবী সাহাবুদ্দিন জানান, অভিযান শেষে জেলেরা নদী সাচ্ছন্দে নদীতে মাছ ধরছে। নদী ভালো পাঙ্গাশ মাছ পাচ্ছে। ইলিশ কম তার পাও আমরা আশা করছি সামনের কাটালে ভালো ইলিশ পাবে তারা। তখন আড়ৎদাররা তাদের ঘারতি পুষিয়ে নিতে পারবে এবং জেলেরাও তাদের ধার দেনা পরিশোধ করতে পারবে।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, সকলের সহযোগীতায় মা ইলিশ রক্ষার অভিযান সাফল্যের সাথে শেষ করেছি। তিনি আশা করেন তাদের যে লক্ষমাত্রা ১লক্ষ ৯২ হাজার মেট্রিক টন তা অর্জন করতে পারবো এবং  জেলেরা অনেক বেশী মাছ পাবে।