মলয় দে : ভোলায় বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের সাথে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, গন্যমান্য ব্যাক্তি ও সুধীজনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৩ আগস্ট দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান' এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শওকত আলী।এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু,ভোলা পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আছাদুজ্জামান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শওকত আলী ভোলা বরিশাল সেতুর প্রসঙ্গে বলেন,আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী এবং ভোলা ১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ ভোলার জন্য অনেক কাজ করেছেন। তার জীবনের শেষ ইচ্ছে ভোলা- বরিশাল ব্রিজ।তোফায়েল আহমেদ সংসদে ভোলা- বরিশাল ব্রিজ নির্মানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।তারই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরিশালের বেল পার্কের এক জনসভায় বলেছিলেন আমি ভোলার গ্যাস নিবো এবং ভোলা-বরিশালের সেতু নির্মান করে দিবো।ইতি মধ্যে ব্রিজ নির্মানের জন্য কয়েকবার সমীক্ষা হয়েছে। তবে সমীক্ষার অগ্রগতি কি তা জানা যায় নি।
তিনি এ বিষয়ে আরো বলেন, ভোলা- বরিশাল ব্রিজ নির্মানের কাজ তরান্বিত করার জন্য প্রয়োজনীয় যে ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরি তা আন্তরিকতার সাথে আমি দেখবো।
ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের যে কাজ বাকী রয়েছে সে অবশিষ্ট কাজ দ্রæত সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় যে সকল পদক্ষেপ গ্রহন করা দরকার তা গ্রহন করা হবে।এর পরে তিনি ভোলা সদর হাসপাতাল নিয়ে বলেন,ভোলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালটি অবকাঠামোর দিক থেকে ঠিক থাকলেও জনবলের দিক থেকে অনেক সংকট রয়েছে।আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সাথে কথা বলে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক এ সমস্যাগুলো কিভাবে দ্রæত কাটিয়ে ওঠা যায় তার প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।
তিনি আরো বলেন,ভোলার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য পুরাতন লাইনগুলো অপসারণ করা জরুরি। তাই পুরাতন লাইনগুলো সরিয়ে নতুন লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহটা স্বাভাবিক করার কথাও তিনি বলেন।
ভোলার ধনিয়া ইউনিয়নে মেঘনা পাড়ের তুলাতুলি এলাকার কিছু অংশ বøকের আওতায় আসে নি।এতে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও নদীর পানি সামান্য বৃদ্ধি পেলেই সেই স্থানগুলোতে খুব দ্রæত পানি প্রবেশ করে।এতে জন জীবন বিপন্ন হয়।তাই ওই সব এলাকার মানুষের কথা বিবেচনা করে ওই অংশটুকু বøকের আওতায় আনা হবে।
এছাড়া ও তিনি জেলা প্রশাসক কে বলেন,ভোলা একটি জেলা।এখানে সভা ও সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য টাউন হল নেই। টাউন হলের জন্য জায়গা নির্ধারন করার জন্য নিদের্শ প্রদান করেন।
এর আগে সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ভোলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও দৈনিক বাংলার কন্ঠের সম্পাদক এম হাবিবুর রহমান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব ও সার্বিক) তামিম আল ইয়ামিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রিপন কুমার সাহা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আলমগীর হোসেন,বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা সহ জেলার সুধীজন ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গণ।
সভাটির সঞ্চালনায় ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম।