অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


ফার্স্ট ক্যাপিটালের সিইওর বিরুদ্ধে টাকা-শেয়ার আত্মসাতের অভিযোগ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪শে জুলাই ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:৩৫

remove_red_eye

১০৮

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. কাউসার আল মামুনের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মাস্টার ফিড এগ্রোটেকের এক পরিচালকের শেয়ার ও টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।
মাস্টার ফিড এগ্রোটেকের সাবেক (মৃত) পরিচালক রফিকুল আলমের স্ত্রী উম্মে হাবিবা ইয়াসমিন এমন অভিযোগ তুলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
চিঠিতে মো. কাউসার আল মামুনের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে প্রতিকার চেয়েছেন উম্মে হাবিবা। ২৩ জুলাই উম্মে হাবিবার সই করা অভিযোগপত্রটি বিএসইসিতে জমা পড়েছে সোমবার (২৪ জুলাই)।
চিঠিতে উম্মে হাবিবা ইয়াসমিন বলেছেন, গত বছরের ১৫ জুলাই আমার স্বামী (মাস্টার ফিডের প্রয়াত পরিচালক) মৃত্যুবরণ করেন। ফলে আদালতের রায়ে উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট অনুযায়ী স্বামীর মোট শেয়ারের ২৫ শতাংশ বা ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৫০০টি শেয়ার পান তিনি।
এ শেয়ার নিজের নামে নিতে ফার্স্ট ক্যাপিটেল সিকিউরিটিজের মতিঝিল শাখায় একটি বিও অ্যাকাউন্ট হিসাব (বিও আইডি নং ১২০৪৪৩০০৭৫৮৭৪৯৪৯) খুলেন উম্মে হাবিবা ইয়াসমিন। পরবর্তীতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন নিয়ে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে ওই বিও হিসাবে শেয়ার স্থানান্তর করা হয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বিও হিসাবে শেয়ার স্থানান্তরের পর পর্যায়ক্রমে শেয়ার বিক্রি করে ও বিভিন্ন তারিখে ফার্স্ট ক্যাপিটালের সিইও মো. কাউসার আল মামুনের অনুমোদনের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেন উম্মে হাবিবা। এ ক্ষেত্রে গত ১৪ মে থেকে ১৮ মে পর্যন্ত সময়ে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা উত্তোলন করেন তিনি।
কিন্তু এরপরে অজ্ঞাত কারণে সিইও কাউসার উম্মে হাবিবার পরিচয় নিয়ে অহেতুক বিভিন্ন রকম অজুহাত তৈরি করে টাকা দেওয়া বিলম্ব করার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেছেন উম্মে হাবিবা।
এর ধারাবাহিকতায় উম্মে হাবিবা গত ১৭ জুলাই তার বাবা, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেওয়া মো. আবুল বাসার এবং মাস্টার ফিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কবীর হোসেনকে নিয়ে ফার্স্ট ক্যাপিটালে যান। শেয়ার বিক্রয়ের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণ জানতে চাইলে মো. কাউসার আল মামুন তাদের সবার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
কাউসার আল মামুন ওইসময় উম্মে হাবিবার পরিচয় নিয়ে বার বার সন্দেহ করেন বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। এমনকি তিনি বলেন, আপনি উম্মে হাবিবা ইয়াসমিন না এবং আপনার সঙ্গে ব্যক্তি আপনার বাবা নন, এগুলো সব সাজানো নাটক। তখন তাকে প্রমাণ হিসেবে সব কাগজ মিলিয়ে দেখতে বলেন উম্মে হাবিবা। কিন্তু মো. কাউসার আল মামুন কোনোভাবেই প্রমাণ করতে রাজী হননি এবং অপমানজনক ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে হেনস্থা করেন- বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে উম্মে হাবিবা আরও বলেন, ফার্স্ট ক্যাপিটালের সিইও’র আচরণ কাম্য ছিল না। যা উনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখলেই প্রমাণিত হবে। একই সঙ্গে তিনি কমিশনে প্রমাণ হিসেবে রফিকুল আলমের মৃত্যু সনদ, আদালতের উত্তরাধিকার আদেশ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, ফান্ড রিকুইজিশন ¯িøপ এবং রফিকুল আলম ও উম্মে হাবিবা ইয়াসমিনের কাবিন নামার কাগজ জমা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) মো. কাউসার আল মামুনের মোবাইল ফোনে একাধিবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
যোগাযোগ করা হলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কমিশনে যে কেউ অভিযোগ দিতে পারেন। অভিযোগের সঙ্গে জমা দেওয়া ডকুমেন্ট দেখে কমিশন প্রয়োজন হলে তদন্ত করে দেখবে। তদন্তে কারো বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুত্র জাগো