অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


শেয়ারবাজারে বড় পতন ঠেকালো বিমা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪শে জুলাই ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:৩৩

remove_red_eye

১১২

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতনের পর দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারও (২৪ জুলাই) দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
অবশ্য এ পতনের বাজারেও দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। অন্য খাতের একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার বিপরীতে বিমা খাতের সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। এমনকি একাধিক বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। বিমা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখানোর কারণে বড় পতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে শেয়ারবাজার।
এর আগে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বিমা খাতসহ অন্যান্য খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দামে ঢালাও দরপতন হয়। এতে মূল্যসূচকের বড় পতনের সঙ্গে কমে লেনদেনের গতি। এ পরিস্থিতি সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে থাকে। এতে লেনদেনের ২০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৮ পয়েন্ট কমে যায়।
বাজারের এ পরিস্থিতিতেই ঘুরে দাঁড়ায় বিমা খাত। দরপতন থেকে বেরিয়ে একের পর এক বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিতে থাকে। প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার পর পরই একাধিক বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্য খাতেও। ফলে লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
কিন্তু প্রথম আড়াই ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার পর অন্য খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখতে পারেনি। যার কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বিমা খাতের ওপরও। এতে দাম বড়ার সর্বোচ্চ সীমা থেকে সরে আসে কয়েকটি বিমা কোম্পানি। এরপরও একটি বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়া আরও এক ডজন বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম ৫ শতাংশের ওপরে বেড়েছে।
সবমিলে দিনের লেনদেন শেষে বিমা খাতের ৪১টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭টির। আর সব খাত মিলে ডিএসইতে ৬৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০২টির এবং ১৮৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৩৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৪৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১১২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩০ কোটি ৩২ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, আরডি ফুড, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, জেমিনি সি ফুড, গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স এবং এডিএন টেলিকম।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৮৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৫টির এবং ৭১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

সুত্র জাগো