অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯শে জুন ২০২৩ রাত ১০:০৯

remove_red_eye

৪০৭

লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনের মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে নির্বিঘেœ বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের মঙ্গলসিকদার এলাকার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে দৈনিক কয়েক হাজার ফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। গত ৬ মাস ধরে প্রকাশ্যে দুইটি ড্রেজার দিয়ে নদীর ডুবোচর থেকে তোলা হচ্ছে বালু। যেসব বালু দুইটি জাহাজে করে তীরে এনে গড়ে তোলা হয়েছে বালু মহল। এই অবৈধ বালু উত্তোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টুর আপন ভাই মো. আলমগীর সিকদার। ভাইয়ের প্রভাবকে পুঁজি করে আলমগীর গড়ে তুলেছেন বালুর স¤্রাজ্য। অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্রের তথ্যমতে, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার ফলে নদীর গতি পরিবর্তন ও নদীর দুই পাড় ভেঙে যায়। এছাড়া ক্ষতি হয় প্রকৃতিরও। যার জন্য নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে ২০১০ সালে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন করে সরকার। তবে ধলীগৌরনগরের ওই কথিত প্রভাবশালীর কাছে সরকারি আইন কিছুই না। তিনি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মঙ্গলসিকদার লঞ্চঘাট এলাকার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন স্থানে কয়েক হাজার ফুট বালু দিয়ে গড়ে তুলেছেন বালুর রাজ্য।
ওই বালু বিক্রির দায়িত্বে থাকা মো. রিয়াজ মৃধা বলেন, চেয়ারম্যানের ভাই আলমগীর মিয়ার বালু এগুলো। যা মেঘনা নদী থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। এসব বালুকে লোকাল বালু বলা হয়। যা ট্রাক হিসেবে বিক্রি করা হয়। প্রতিটি ট্রাক দেড়শত ফুট বালু দিয়ে ভর্তি করা হয়। যার দাম পড়ে ৮৫০ টাকা। এতে করে প্রতি ফুট বালুর দাম পড়ে সাড়ে পাঁচ টাকারও বেশি।  
মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. আলমগীর সিকদার জানান, আরও মাসখানেক আগে বালু তুলেছি। এখন বন্ধ রয়েছে। যেসব বালু আগে তোলা হয়েছে সেগুলোই এখনও আছে।
নদী থেকে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তামিম আল ইয়ামীন বলেন, লালমোহনে কোনো বালু মহল নেই। সেক্ষেত্রে কেউ নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে পারবে না। কেউ উত্তোলন করলে তা অবৈধ। এক্ষেত্রে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, মেঘনার ভাঙনরোধে ইতোমধ্যে প্রায় ১১ শত কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। তবে মেঘনা নদী থেকে এভাবে বালু তুলতে থাকলে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হবে না। তাই দ্রæত এ অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি স্থানীয় সচেতন মহলের।





আরও...