অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২রা মে ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:১৯

remove_red_eye

১২০

এক কার্যদিবস মূল্য সংশোধনের পর দেশের শেয়ারবাজারে আবার ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে। মঙ্গলবার (২ মে) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সেইসঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।

এর আগে ঈদের আগে ও পরে মিলে টানা নয় কার্যদিবস সূচক বাড়ার পর রোববার (৩০ এপ্রিল) শেয়ারবাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়। সোমবার মে দিবসের কারণে শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়নি। আর মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে আবার ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিললো। এর মাধ্যমে শেষ ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ১০ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক বাড়লো।

সূচক এমন টানা বাড়ার পাশাপাশ দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) আটকে থাকা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা ফিরেছে। এতে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম ফ্লোর প্রাইসের ওপরে উঠে এসেছে। তবে, এরপরও এখনো ২০০ বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোরপ্রাইসে আটকে রয়েছে।

তবে শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক গতি প্রকৃতি আশাব্যাঞ্জক। কিছু বড় প্রতিষ্ঠান ভালো ইপিএস (শেয়ার প্রতি আয়) দেখিয়েছে। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান ভালো লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট কমে যায়। তবে, লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাজার পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। দাম কমার তালিকা থেকে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। এতে সূচকও পজিটিভ হয়।

আর লেনদেনের শেষদিকে দাম বড়ার প্রবণতা আরও বাড়ে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৮৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫০টির এবং ২০১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা তিনটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

মূল্যসূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৫১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৯৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১৫৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

শেয়ারবাজারের এ পরিস্থিতি সম্পর্কে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, শেয়ারবাজারের সাম্প্রতি সময়ের গতি-প্রকৃতি আশাব্যাঞ্জক। কয়েকটি বড় কোম্পানি ভালো ইপিএস দিয়েছে। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোরপ্রাইসে আটকে থাকা কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম অবমূল্যায়িত অবস্থায় রয়েছে বলে মনে করছে বিনিয়োগকারীরা। সবকিছু মিলে শেয়ারবাজারে একটা ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

অন্যদিকে, টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। কোম্পানিটির ৫০ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ৩৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনিক হোটেল।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, নাভানা ফার্মা, বসুন্ধরা পেপার, জেনেক্স ইনফোসিস, আমরা নেটওয়ার্ক এবং অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৮৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬টির এবং ৮৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

সুত্র জাগো