অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


শিশুর কাশি হলে যে ৩ ফল খাওয়ানো বন্ধ করবেন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯শে এপ্রিল ২০২৩ দুপুর ০২:৪৭

remove_red_eye

৪৬৫

প্রচণ্ড গরমে বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও এখন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অনেক শিশুই ঋতু পরিবর্তনের কারণে জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছে এখন।

গরমে শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে হওয়ার কারণে কমবেশি সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এজন্য অভিভাবকের উচিত শিশুর প্রতি আরও যত্নবান হওয়া।

সর্দি-জ্বর ওষুধ খাওয়ানোর কয়েকদিনের মধ্যে সেরে গেলেও দেখা যায় শিশুর কাশি সহজে সারছে না। এক্ষেত্রে কাশির সঙ্গে অ্যালার্জির বিভিন্ন লক্ষণও ফুটে উঠতে পারে শিশুর শরীরে।

এ সময় শিশুর কাশি হলে ৩ ধরনের ফল একেবারেই খাওয়াবেন না। এর পাশপাশি আরও কিছু নিয়ম অনুসরণ করা জরুর বলে মত, ভারতের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নিহার পারেখ।

তার মতে, শিশুর কাশি হলে স্ট্রবেরি, আঙুর ও লিচু খাওয়ানো যাবে না। অন্তত শিশুর কাশি হওয়ার পর ২০-২৫ দিন পর্যন্ত এই ফলগুলো খাওয়ানো এড়াতে হবে।

এই ফলগুলো খেলে অ্যালার্জিজনিত কাশি, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, উচ্চ জ্বর, টনসিলাইটিস ও কানের সংক্রমণ বাড়তে পারে।

শিশুদের কেন এই ফলগুলো খাওয়ানো উচিত নয়?

এ বিষয়ে ডা. পারেখ ব্যাখ্যা করে, স্ট্রবেরি হিস্টামিন নিঃসরণ করতে পরিচিত, যা কাশিকে ট্রিগার করে। ফলে কাশি আরও বাড়ে। আর আঙুর ও লিচুতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি শরীরের ব্যাকটেরিয়া আরও বাড়িয়ে দেয়।

শিশুরোগ এই বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত রঙের, কৃত্রিমভাবে মিষ্টি, কৃত্রিমভাবে রঙিন বা অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। তার মতে, এসব খাবার ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে দেয়, যা সংক্রমণ ঘটার জন্য দায়ী হতে পারে।

এসবের পাশাপাশি আইসক্রিম, চকলেট, ক্যান্ডি, পেস্ট্রি, ডোনাটস, কেক, স্ট্রবেরি, লিচু, আঙুর ও ফ্রিজের যে কোনো ঠান্ডা খাবার শিশুকে এখন খাওয়াবেন না। তাহলেই দেখবেন শিশুর কাশি সেরে যাবে।

শিশুর সর্দি-কাশির ঝুঁকি কমাতে করণীয়

ডা. নিহার পারেখ অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন, ধুলাময় স্থান, রঙের কাজের সাইট, নির্মাণ ও সংস্কারের জায়গাগুলোতে শিশুদেরকে নেবেন না। এসব স্থানে গেলে শিশুর কাশি বাড়তে পারে।

ঘরে প্রয়োজনে এয়ার পিউরিফায়ার রাখুন। এর পাশাপাশি ঘরে কার্পেট গুটিয়ে নিতে হওবে, নরম বা পশমের খেলনাগুলো শিশুর হাতে দেবেন পরিষ্কার না করে।

ঘরে যদি পাখি, বিড়াল বা কুকুর থাকে, তাহলে তাদের পশম বা পাখনা থেকে শিশুকে দূরে রাখুন। সেগুলো ক্রমাগতভাবে অ্যালার্জির সমস্যা বোড়াতে পারে।

সুত্র জাগো

 





আরও...