অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


৬ বছর পর ১০ বিদ্যালয়ের নকশা পরিবর্তন, ব্যয় বাড়ছে ৭৭ কোটি


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৮ই এপ্রিল ২০২৩ দুপুর ১২:১৬

remove_red_eye

১৯৩

দীর্ঘ ছয় বছর পর রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী এলাকায় ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের (১ম সংশোধিত) নকশা পরিবর্তন করতে হচ্ছে। এর ফলে ব্যয় বাড়ছে ৭৭ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। মূল অনুমোদিত প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৬৭৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এখন মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৭৫০ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মূল অনুমোদিত প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন নাগাদ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা থাকলেও ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে ২০২১ সালের জুন নাগাদ মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। এরপর আবারও ব্যয় ব্যতিরেকে ২০২২ সালের জুন নাগাদ মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। নতুন করে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ মেয়াদ বাড়ানো হলো।

প্রকল্প এলাকা হচ্ছে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ৬টি উপজেলা। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো ঢাকা শহরের সন্নিকটে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে দুই হাজার ৭০০ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আধুনিক শিক্ষা উপকরণসহ প্রাতিষ্ঠানিক/অবকাঠামোগত সুবিধা দেওয়া। ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর জন্য গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ এবং সামগ্রিকভাবে শিক্ষার ক্ষেত্রে সংখ্যাগত ফলাফল বৃদ্ধির সঙ্গে গুণগত মানের উন্নয়নসাধনও এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।

প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, ৯টি অনাবাসিক ভবন নির্মাণ এবং ভূমি উন্নয়ন, দুটি মোটরযান (পিআইইউ), ১৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ/বন্দোবস্ত করা। ভোকেশনাল/ট্রেড কোর্স সংযোজন, কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রী, অফিস সরঞ্জামাদি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, গবেষণাগার সরঞ্জামাদি, আসবাবপত্র, শিক্ষা উপকরণ ইত্যাদি কেনা।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, প্রকল্প এলাকা ও বিবরণ সংশোধন, নির্মিতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ড্রইং ও ডিজাইন সংশোধন, রেট সিডিউল অনুযায়ী নির্মাণ ও পূর্তকাজের বর্তমান ব্যয় প্রাক্কলন সংশোধন। নির্মাণ ও পূর্তকাজের প্যাকেজ সংশোধন, কতিপয় সংশ্লিষ্ট ব্যয় বৃদ্ধি/হ্রাস ও কোড সংশোধন, আইসিটি ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের কম্পিউটার সামগ্রীর তালিকা পরিমার্জন, প্রকল্পে নতুন দুটি খাত অন্তর্ভুক্তি ও একটি খাত বিয়োজন এবং প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি।

পরিকল্পনা কমিশন বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকা শহরের নিকটবর্তী এলাকায় নতুন স্কুলভবন নির্মাণ ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করে নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নের সুযোগ সৃষ্টিসহ শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি ও শিক্ষার প্রসার ঘটানো হবে। এটি এসডিজি-৪ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় গুণগত শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি ও শিক্ষা সম্পন্নের হার বৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাস এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে।

সুত্র জাগো