অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


পাকিস্তানে মসজিদে আত্মঘাতী হামলা: থামছে না মৃত্যুর মিছিল


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩১শে জানুয়ারী ২০২৩ রাত ০৯:৫২

remove_red_eye

২৮৮

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশওয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর জিও নিউজের।
এদিন সকালেও বেশ কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিস্ফোরণে ভবনটির একাংশ ধসে পড়েছে। এখনও সেখানে চলছে উদ্ধারকাজ।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পেশওয়ারের পুলিশ লাইনস এলাকার একটি মসজিদে ভয়াবহ এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত রয়েছেন দুই শতাধিক।
দেশটির পুলিশ বলছে, সোমবার দুপুর ১টার দিকে মসজিদের সেন্ট্রাল হলে বিস্ফোরণটি ঘটে। মুসল্লিরা জোহরের নামাজ আদায় করছিলেন এ সময়।

নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, আত্মঘাতী হামলাকারী জোহরের নামাজের সময় সামনের সারিতে ছিলেন। পুলিশ আরও জানায়, মসজিদের ইমাম সাহেবজাদা নূর উল আমিনও বিস্ফোরণে মারা গেছেন।

এদিকে, পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) তাদের একজন কমান্ডারের প্রাথমিক দাবির পরে হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ আজম খান এ ঘটনায় মঙ্গলবার একদিনের শোক ঘোষণা করেছেন। প্রদেশজুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকছে মঙ্গলবার।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পেশওয়ারে যান সেদিনই। নগরীর লেডি রিডিং হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, পাকিস্তান রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন যারা, তাদের লক্ষ্য করেই সন্ত্রাসীরা ভয়ভীতি সৃষ্টি করতে চায়।

পেশওয়ারের পুলিশ প্রধান মুহাম্মাদ ইজাজ খান স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, হামলার ঘটনার সময় ওই এলাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্বরত ছিলেন। আত্মঘাতী হামলা ঘিরে সব ধরনের ইস্যু বিশ্লেষণ করে দেখছে তদন্তকারী টিম।





আরও...