অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


জিয়া স্বাধীনতার চেতনা মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছিলো :তোফায়েল


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪শে মার্চ ২০১৯ রাত ১২:৫০

remove_red_eye

৬৪০

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক \ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য,বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এই দেশে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ছিলো । স্বাধীনতার চেতনা মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছিলো। স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতিতে পুনরবাসিত করেছিলো। খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় ছিলো। তিনিও স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে পতাকা দিয়ে ছিলো।
গতকাল শনিবার সকালে ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তৃতীয় দিনের মতবিনিময় সভায় সদর উপজেলা ধনিয়া ও চরসামাইয়া ইউনিয়নের আওয়মী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,বিএনপি কোন ভিত্তির উপর জন্ম গ্রহণ করেনি। দিনে দিনে মানুষের কাছে তা পরিচিতি লাভ করেছে। যার কারনে বিগত নির্বাচনে মাত্র ৬টি আসন পেয়েছে। আর বিএনপি জোট পেয়েছে মাত্র ৮টি আসন। আর আওয়ামী লীগের ৪৯ সালে জন্ম। আজকে ৭০ বছর আওয়ামী লীগ কতো উথœান পতন হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ১৩ বছর কারাগারে বন্ধি করে রেখেছে। কিন্তু তিনি আপোস করেনি। আমরা বার বার আন্দোলন সংগ্রাম করে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করেছি।
সাবেক মন্ত্রী নেতা আরো বলেন, জাতির পিতা যখন বিধ্বস্ত বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়ে ক্ষুদা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ রুপান্তর করার কাজে এগিয়ে চলেছেন, তখনই তাকে হত্যা করা হয়। তার ২ কন্যা বিদেশ থাকায় বেঁচে গিয়েছেন। আমরা তার জেষ্ঠ কন্যার হাতে আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দিয়েছি। তিনি বলেন, সেই পতাকা হাতে নিয়ে নিষ্ঠা ও সততার সাথে দল পরিচালনা করে ৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধকে পুনরোদ্ধার করা হলো।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচনের পর খালেদা জিয়া মানুষ হত্যা, নারী নির্যাতনসহ এমন কোন দু:শাসন নেই যেটা তারা করেনি। যার কারণে আজকে বিএনপির এই পতন। এছাড়া গত ২ মেয়াদে শেখ হাসিনার সরকার দেশটাকে আন্তর্যাতিক বিশ্বে মর্জাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। তিনি আজ বাংলাদেশের নেতা নন। বিশ্বের অনতম শ্রেষ্ঠ নেতা। যাকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে আশ্রয় দেয়ার জন্য মাদার অব হিউমিনিটি আখ্যায় আখ্যায়িত করা হয়েছে। এই ভোলায় অনেকেই মন্ত্রী ছিলো। রাস্তাঘাটপুল কাল ভার্ট করেনি। নদী ভাঙ্গার মন্ত্রী ছিলো মেজর হাফিজ,মোশারেফ হোসেন শাজাহান। তারা ভোলায় নদী ভাঙ্গন বন্ধ করেনি। আরো ছিলো ওবায়দুল বাবুল মোল্লার হত্যার পরিকল্পনার ষড়যন্ত্রকারী খুন মামলার আসামী তিনি শুধু ভোলায় সোডিয়াম লাইট লাগিয়েছে। নিজের বাড়ির রাস্তাও করেনি। কিন্তু আমরা ভোলার উন্নয়ন করি। বাগমারা ব্রীজ,খেয়াঘটা ব্রীজ করি। ভোলার নদী ভাঙ্গন এখন বন্ধ হয়েছে। গড়ে গড়ে বিদ্যুৎ পৌছে গেছে। ভোলায় পর্যাপ্ত গ্যাস আছেে ভোলা হবে শিল্প নগরী। ভোলাকে সিঙ্গাপুরের আদলে গড়ে তোলা হবে। আপনারা আমার আপনজন। আমি আপনাদের মাঝেই বেঁচে থাকতে চাই।
তিনি আরো বলেন, ভোলা-বরিশাল বীজের সম্ভবতা যাচাই হয়েছে। অর্থায়নের জন্য সেতু মন্ত্রনালয় কাজ করে চলেছে। এই ব্রীজটি হলে ভোলা পর্যটন কেন্দ্র হবে। সেই লক্ষে কাজ করে চলেছি।
ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মোশারেফ হোসেন’র সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব,সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো: ইউনুস, চরসামাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মাতাব্বর,ধনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ হাওলাদার প্রমুখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক এনামুল হক আরজু,সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।

এদিকে মতবিনিময় সভায় ২ ইউনিয়নের কয়েক হাজার নারী পুরুষ নেতাকর্মী অংশ নেয়।

উল্লেখ্য, গত বুধবার থেকে ভোলা আওয়মী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে ৫ দিন ব্যাপী মতবিনিময় সভা শুরু হয়।