লালমোহন প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৬শে নভেম্বর ২০২২ রাত ১০:১৩
৪২
ক্ষতিপূরণের দাবি
লালমোহন প্রতিনিধি : ২৭ নভেম্বর। ভোলার ইতিহাসে এক ভয়াবহ শোকাহত দিন। ২০০৯ সালের এই দিনে লালমোহনের তেঁতুলিয়া নদীর তীরে এসে ডুবে যায় এমভি কোকো-৪ লঞ্চ। দুর্ঘটনার পর থেকে এক এক করে পেরিয়ে গেছে ১৩ টি বছর। এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮১ জন যাত্রী। এর মধ্যে ৪৫ জনই লালমোহনের। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনার কথা মনে পড়লে এখনো কাঁদেন স্বজনহারা মানুষ। দুর্ঘটনার ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার পাননি কেউ। সরকারের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে সহায়তা দেয়া হলেও লঞ্চ কর্তৃপক্ষ খোঁজ নেয়নি কারও।
সেই দুর্ঘটনায় মেয়ে ও নাতনিকে হারিয়েছেন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইসমাইল ব্যাপারী বাড়ির মনোয়ার বেগম। ১৩ বছরেও মেয়ে আর নাতনির কথা ভুলতে পারেননি তিনি। তাদের স্মৃতি মনে করে এখনো কান্নায় ভেঙে পড়েন মনোয়ারা বেগম।
তিনি বলেন, ঈদ করতে ঢাকা থেকে লালমোহনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে লঞ্চ ডুবিতে মারা যায় তার মেয়ে ও ২ বছর বয়সি নাতিন। সেই দুর্বিষহ স্মৃতি আজও তাড়া করে তাকে।
ওই দুর্ঘটনার দিন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাকলাই বাড়ির শামছুন নাহার স্বামী, সন্তান, দেবরসহ একই বাড়ির ১৮ জন নিয়ে কোকো-৪ লঞ্চে রওনা হয়েছিল বাড়িতে। কিন্তু ঘাটে ভেড়ার আগেই ডুবে যায় লঞ্চটি। এতে মারা যায় তার মেয়ে সুরাইয়া, দেবরের মেয়ে কবিতা ও দেবর সোহাগ। সেই থেকে এখনো শোকে কাঁতর শামসুন নাহার।
২০০৯ সালের সেই ভয়াবহ কোকো-৪ লঞ্চ দুর্ঘটনায় কেউ হারিয়েছেন পিতা-মাতা, কেউ হারিয়েছেন সন্তান, কেউ ভাই-বোন। সেদিনের সেই মর্মান্তিক ট্রাজেডির কথা মনে করে শোক সাগরে ভাসছে পুরো দ্বীপজেলা, বিশেষ করে লালমোহন উপজেলা।
তবে এখনো লালমোহন-ঢাকা নৌরুটে যাতায়াত করা যাত্রীরা বলেন, ঈদ বা অন্য কোনো উৎসবে এখনো এ রুটে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করেই চলছে লঞ্চগুলো। যাত্রীদের জীবনের কথা বিবেচনা করে লালমোহন-ঢাকা নৌ-রুটে চলাচল করা লঞ্চ মালিকদের সর্তক হওয়ার দাবী।
লালমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ওই লঞ্চ দুর্ঘটনার ঘটনায় ২০০৯ সালের ৩০ নভেম্বর লালমোহন থানায় কোকো লঞ্চের চালক ও মাষ্টারসহ ৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১১ সালে পুলিশ মামলাটির চার্জসীট দিয়েছে। মামলাটি এখন বিচারাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ জানান, ওই সময় লঞ্চ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এতো মানুষের প্রাণ গেছে। কিন্তু মালিক পক্ষ থেকে কারো খোঁজ-খবর নেয়নি। এখনো তাদের কোনো ক্ষতিপূরণও দেয়নি লঞ্চকর্তৃপক্ষ। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই। এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দ্রæত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবী জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৬ নভেম্বর ঢাকা থেকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী নিয়ে ভোলার লালমোহনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে কোকো-৪ লঞ্চটি। এরপর ঘড়ির কাটায় তারিখ পরিবর্তন হয়ে হয় ২৭ নভেম্বর। ভোর রাতের দিকে লালমোহনের নাজিরপুর ঘাটের কাছে এসে যাত্রীর চাপে ডুবে যায় লঞ্চটি। কোকো ট্রাজেডিতে লালমোহনে ৪৫ জন, চরফ্যাশনের ৩১ জন, তজুমদ্দিনের ২ ও দৌলতখানের ৩ জনের প্রাণহানি ঘটে।
তজুমদ্দিনে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
লালমোহনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিকী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
লালমোহনে এশিয়ান টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
চরাঞ্চলে মহিষ পালনে সংকট ও লাভজনক সম্ভাবনা
ভোলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে চতুর্থ ধাপে ১২’শ ৩৬ টি গৃহ নির্মাণের কাজ চলছে
ভোলায় আবাসিক গ্যাস সংযোগসহ ১১দফা দাবিতে মানববন্ধন
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের প্রধান হাতিয়ার ডিজিটাল সংযোগ : প্রধানমন্ত্রী
অপশক্তিকে আগুন নিয়ে খেলতে দেয়া হবে না : ওবায়দুল কাদের
গুজব প্রতিরোধে ডিসিদের দিক-নির্দেশনা তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর
ক্ষমতার অপপ্রয়োগ যাতে না হয় ডিসিদেরকে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
ভোলার চরফ্যাশনে করোনা উপর্সগ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক
ভোলায় ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও ৬ জনের করোনা শনাক্ত
ভোলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আরো ১০ জন করোনা আক্রান্ত
ভোলায় বাল্যবিয়ে কথা বলে চাঁদাদাবী : আটক হলো ২ কথিত সাংবাদিক
ভোলায় হাসপাতালের টেকনিশিয়ানসহ আরও ৩ জন করোনায় আক্রান্ত