অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


আরব আমিরাতের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশে চোখ টাইগারদের


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২২ রাত ০৯:১৬

remove_red_eye

৩৬৩

জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে স্বাগতিক  সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষে সিরিজের  দ্বিতীয় ও শেষ  টি-টোয়েন্টিতে আগামীকাল মাঠে নামবে বাংলাদেশ কিকেট দল। 
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়। 
দুর্বল আমিরাতের বিপক্ষে গত রাতে প্রথম ম্যাচে বলতে গেলে বেগ পেয়েই জিততে হয়েছে বাংলাদেশকে। দলের পারফরমেন্স  মোটেই আশানুরুপ ছিলো না। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে পারফরমেন্সের উন্নতি ঘটানোও  লক্ষ্য টাইগারদের। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান তুলে বাংলাদেশ। বাজে শুরুর পরও লড়াকু পুঁজি পায় টাইগাররা। আরব আমিরাত ইনিংসের শেষ পর্যন্ত আফজাল খান ক্রিজে থাকায়, কপালে চিন্তার ভাঁজ ছিলো বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ঘাম ঝড়িয়ে জিততে হয়েছে াবাংলাদেশকে।
১৭ ওভার শেষে আমিরাতের স্কোর ছিল  ৮ উইকেটে ১২৪ রান।  তাতে সহজ জয় দেখছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু অষ্টম উইকেটে জুনায়েদ সিদ্দিকীকে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দেন সাত নম্বরে নামা আয়ান। জুটিতে ২৪ তুলে বাংলাদেশকে চিন্তায় ফেলে দেন তারা।
শেষ ওভারে ১১ রান দরকার পড়ে আরব আমিরাতের। কিন্তু শেষ ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে আয়ান-জুনায়েদকে বিদায় দিয়ে স্বস্তির জয় পায় বাংলাদেশ। তবে আরব আমিরাতের জন্য  এই হার, জয়ের সমান। ইনিংসের ২ বল বাকী থাকতে ১৫১ রানে গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ম্যাচটি জিতলেও টাইগারদের  খেলায় কোন উন্নতি চোখে পড়েনি। ব্যাটারদের ব্যর্থতা অব্যাহত থাকলেও, নিজের ফর্ম ধরে রেখেছেন আফিফ হোসেন। তার অপরাজিত ৭৭ রানের সুবাদেই ১৫৮ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ফিল্ডিংয়ের সমস্যাটা  ভলোভাবে আবারও ফুটে উঠে। ক্যাচ ড্রপ, ফিল্ডিং মিস বাংলাদেশের জন্য বড় চিন্তার বিষয়।  
অনেকদিন পর সিনিয়র খেলোয়াড় ছাড়াই এমন একটি ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ। তবে আফিফ হোসেন মনে করেন, সিনিয়রদের অনুপস্থিতি কোন প্রভাব ফেলবে না। কারণ দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে আফিফ বলেন, ‘কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় না থাকলেও, আমাদের ওপর কোন বাড়তি চাপ নেই। আমাদের সবসময় সেরা একাদশই থাকে। আমি আশা করি পরের ম্যাচেও রান করতে পারবো আমি।’
উইকেট শুরুতে বেশ  কঠিন ছিল বলেই বাংলাদেশের টপ অর্ডাররা ভালো করতে পারেনি বলে মনে করেন আফিফ। ৭৭ রানের মধ্যে বাংলাদেশের ৫ উইকেটের পতন ঘটে। সঙ্গত কারণেই এরপর লড়াই  করার মত পুঁিজ না পাওয়ার শংকায় পড়ে  বাংলাদেশ। কিন্তু  ষষ্ঠ উইকেটে আফিফ এবং অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের  ৫৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রান  বাংলাদেশকে  লড়াই করার মত সংগ্রহ এনে দেয়।
আফিফ বলেন, ‘শুরুতে একটু কঠিন ছিল। বল গ্রিপিং হয়েছিল। টপ অর্ডার ভালো করতে পারেনি। আশা করছি, পরের ম্যাচে ভালো করবে তারা। তবে এটি সমস্যা নয়।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে  এ পর্যন্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে  দু’বারের মুখোমুখিতে শতভাগ জয় বাংলাদেশের। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ১৩৪টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে টাইগারদের জয় আছে ৪৬টিতে, হার ৮৫টিতে। তিনটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে বাংলাদেশ দল : নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, লিটন দাস, ইয়াসির আলী রাব্বি, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, সৌম্য সরকার ও রিশাদ হোসেন।

সুত্র বাসস