অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সংবাদ সম্মেলন


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ঠা আগস্ট ২০২২ রাত ১১:৩৭

remove_red_eye

৪১৭




বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক :  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপি ও পুলিশ সংর্ঘষের ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় ভোলা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে  সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, শান্তিপূর্ন সমাবেশে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিনা কারনে বিনা উস্কানীতে পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জ গুলি করা করা হয়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।ইতি মধ্যেই ২ জন সাহাদাৎ বরণ করেছে। জনগনের পক্ষ থেকে কথা বলতে গিয়ে সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ২ নেতা জীবন দিয়ে গেলেন। তিনি বলেন,  সরকারের যদি উপরের নির্দেশ না থাকতো পুলিশের বিরুদ্ধে আজো কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা বা ডিপাটমেন্টাল কোন এ্যাকশন আজ পর্যন্ত আমরা লক্ষ করিনি। দায়ী পুলিশ যারা, যদি তাদের নিজের গরজে করে থাকে, সরকারের নির্দেশ না থাকে , তবে সরকারের উচিত হবে তাদেরকে যথাযথ ভাবে শাস্তির আওতায় আনা।  দায়ী পুলিশ যারা তা হলে সরকারের উচিত হবে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা। আমরা যোর দাবী করবো ,এই নিহত ও আহত পরিবারকে যথাযথ ক্ষতি পূরন দিতে হবে। পুলিশের গুলিতে আবদুর রহিম ও নুরে আলমের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে বলেন, সেদিন অস্ত্র ছিলো পুলিশের হাতে, বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। সুতরাং তাদের গুলিতেই আমাদের এ দুই নেতার  মৃত্যু হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম বলেন, ভোলা একটি শান্তি প্রিয় জনপদ।  আমরা আশা করবো নুরে আলম ও রহিমের বিচার করবে এই সরকার। পুলিশ বাহিীন নিয়ম হলো গুলি করলেও নিচের দিকে পায়ের দিকে গুলি করবে। কিন্তু প্রত্যেকটা গুলি তারা বুক এবং উপর দিকে করেছে। ডাক্তাররা বলেছে নুরে আলমের মাথায় বুলেট বিদ্ধ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রকৃত ঘটনার কারন অনুসন্ধান করে কি ঘটনা ঘটেছিলো তা জানার চেষ্টা করবো। কারা এর জন্য দায়ী। আজ পর্যন্ত বিএনপির কোন কর্মীর হত্যা কান্ডের বিচার হতে দেখিনি। এটা দু:খ জনক।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন, সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহীম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবদল সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক ( বরিশাল জোন) এডভোকেট বিলকিস জাহান,   কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ,  সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ,কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারুজ্জামান শীমুল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম জাবেদ,  কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসাংগঠনিক মোহাম্মদ আলমগীর শাহিন, ভোলা জেলা বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর,  সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিমের স্ত্রী ও সন্তানদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।





আরও...