অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


চরফ্যাসনে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার ৮০ বছরের পৈত্রিক জমি দখল


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ই জুলাই ২০১৯ রাত ১০:২৯

remove_red_eye

৫৪১

বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক :এইচ এম ফারুক নামে পঙ্গু এক মুক্তিযোদ্ধার  প্রায় ৮০ বছরের পৈত্রিক জমি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীগঞ্জ থানার আলমগীর-জামাল গ্রæপ জবর দখল করে রেখেছে । এমনকি জমির কাছে গেলে ওই মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে পিটিয়ে জখম পর্যন্ত করেছে।  অভিযোগ রয়েছে, দখলকারী বর্গা চাষারা এখন মুক্তিযোদ্ধার জমির মালিক বনে গেছেন! কিন্তু পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবন্দদের কাছে অভিযোগ দিলেও মুক্তিযোদ্ধা কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। জমি উদ্ধারে তিনি এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। নিরুপায় হয়ে তিনি এখন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।  মঙ্গলবার বেলা ১২টায় ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এইচ এম ফারুক নামে পঙ্গু এক মুক্তিযোদ্ধা এমন অভিযোগ করেন।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার শৌলা গ্রামের বাসিন্দা লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে ফারুক আলম বলেন, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার রসুলপুর মৌজার ৪৮৮ শতাংশ(জেএল নং-৯২, এসএ খতিয়ান নং-৭০২, দাগ নং-১১৮১ ও ১৫২০) জমি ১৯৪০ সাল থেকে তাঁর বাবা মরহুম আ. ওয়াজেদ মাষ্টার ও চাচারা বন্দোবস্ত সূত্রে ভোগ-দখলে আছেন। পৈত্রিক সূত্রে বর্তমানে তাঁরা মালিক হয়েছেন। ১৯৭০ সাল থেকে ওই জমির বর্গা চাষা ছিলেন রসুলপুর মৌজার মোজাম্মেল হোসেন ও আ. আজীজ হাজারী। তাঁদের মৃত্যুর পরে তাঁর ছেলেরা ওই জমি আবাদ করতেন। মোজাম্মেলের ছেলে আলমগীর হোসেন, মো. জামাল হোসেন, কামাল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন এবং আজীজের পুত্র রুহুল আমিন হাজারী ও সবুজ হাজারী।  ২০১৩ সাল পরে জমির বর্গাচাষীরা জমির মালিক পক্ষকে বাৎসরিক ধান বা টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন। ওই বছরের ১৫ মার্চ জানতে পারেন, চাষীরা জাল দলিলের মাধ্যমে জমির মালিক সেজে নিজেরাই ওই জমির মালিক দাবী করেন।
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আলম বলেন, বাধ্য হয়ে চাষাদের জমি থেকে উৎখাতের জন্য ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ২১জুন আদালত ফারুক আলমের পক্ষে রায় প্রদান করেন বলে তিনি জানান। এর পর ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারী জমির নামজারী করান এবং জমিতে সাইনবোর্ড  লাগান। তখন ওই বর্গা চাষীরা ওই সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে জোরপূর্বক জমি চাষ করেন। তখন চরফ্যাসনের শশীগঞ্জ থানার থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামানকে জানালে  তিনি দখলদারদের থানায় ডেকে আনান এবং দখলদারদের পক্ষে জমির  প্রকৃত কাগজ দেখিয়ে জমির চাষে যেতে বলেন।
কিন্তু দখলদার পক্ষ আজও জমির কাগজ দেখাতে পারেনি, কিন্তু জমি ভোগ-দখল করছে। এ অবস্থায় চলতি বছরের ১৫জুন ফারুক ও তাঁর স্ত্রী জমির কাছে গেলে দখলদার পক্ষ তাঁদেরকে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাঁরা চিকিৎসা শেষে মামলা করলেও পুলিশ আসামীদের ধরতে পারছে না। ফারুক আলম বলেন, তিনি পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা! আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছেন জন্মলগ্ন থেকে। তিনি পৈত্রিক জমি ফিরে পেতে চরফ্যাশনের রাজনৈতিক ব্যক্তি, পুলিশ ও প্রশাসনকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। মামলা করেছেন।  কিন্তু জমির দখল পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে ওসি মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, তারা মামলার আসামী আটকের আগেই তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসেছেন।