অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


ট্রলার ডুবিতে নিহত চরফ্যাসনের ৭ জেলের দাফন সম্পন্ন প্রতি পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ই জুলাই ২০১৯ রাত ১০:৪৩

remove_red_eye

৫১৫

 

আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন থেকে: ভোলা চরফ্যাশন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় মৃত সাত জেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯ টায় জিন্নাগড় ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নুরু মিয়া মহাজন বাড়ির দরজার মসজিদ প্রাঙ্গনে নিহত পাঁচ জেলে এবং অন্য দুই জনের বাড়ি সংলগ্ন মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজা নামাজ শেষে স্ব স্ব পরিবারিক কবর স্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। নিহত সাত জেলে হলেন, কামাল হোসেন, অলিউল্লাহ, অজিউল্লাহ, মোঃ মাসুদ, বাবুল মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম এবং শামসুদ্দিন পাটোয়ারী। এদিকে উপজেলা প্রশাসন থেকে জেলেদের মৃতদেহ গ্রহন করে স্ব স্ব গ্রামে নিয়ে গেলে সর্বত্র নেমে আসে শোকের ছায়া। তাদের শেষ বারের মতো এক নজর দেখতে ছুটে আসেন সর্বস্তরের জনতা। তাদের আত্মীয় স্বজনের আহাজারিতে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। সকলকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন এমন দেশে, যেখানে মানুষ একবার গেলে আর ফিরে আসেনা।। ট্রলার ডুবির ৮ দিন অতিবাহিত হলে নূরাবাদ এলাকার নিখোঁজ শাজাহান মাঝির ট্রলারের ১৪ জেলের এখনও সন্ধান মিলেনি।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন জানান ,নিহত জেলেদের প্রত্যেক পরিবারকে দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং আহত জেলেদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মৎস্য ও প্রানি সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিহত জেলেদের প্রত্যেক পরিবারকে এক লাখ টাকা অনুদানের আশ্বাস দেওয়া হয়। অন্যদিকে রসুলপুর ইউনিয়নের নিখোঁজ জেলে পরিবারের মধ্যে এক বস্তা চাল সহ অন্যান্য খাবার সামগ্রী বিতরন করেন রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিরুল ইসলাম পন্ডিত।
উল্লেখ্য গত ৪ জুলাই চরফ্যাশন সামরাজ মৎস ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রলারের মধ্যে ৬ জুলাই বঙ্গোপসাগরে হঠাৎ জড়ো হাওয়া ও উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ৩ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ২৯ জেলে নিখোঁজ হন। বুধবার সকালে কক্সবাজার উপকূলে ৭ জেলের মৃত দেহ এবং ২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। জীবিত ২ জেলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।