অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


চরফ্যাশনে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় আমনের বীজতলা তৈরি করেনি কৃষকরা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২শে জুলাই ২০১৯ রাত ১১:০৮

remove_red_eye

৫৮৫

আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন || আষাঢ়ের শুরুতে আমন চাষাবাদ শুরু করার কথা থাকলেও জলবায়ুর পরিবর্তনে বিরুপ প্রভাবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় শ্রাবণ মাসেও আমন ফসলের বীজতলা তৈরি করতে পারছেনা কৃষকরা। জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবে উত্তপ্ত রোদে আর অনাবৃষ্টির কারনে কৃষকরা বিপাকে পড়েছে। পানি নিস্কাশনের সু-ব্যবস্থা না থাকায় নি¤œাঞ্চল জমিতে পানিবন্দী হয়ে আছে।

সঠিক সময়ে বীজতলা তৈরি করতে পারেনি এ ব্যাপারে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুম শেষ হয়ে গেলেও তারা এখনো বীজতলা তৈরী করতে পারেনি। টানাবর্ষনের ফলে আষাঢ় অতিবাহিত হয়ে শ্রাবনের দ্বিতীয় সপ্তাহ শুরু হলেও জমিতে জলাবদ্ধতার কারনে এখনও আমন বীজতলা তৈরী করা সম্ভব হয়নি।

আয়শাবাগ গ্রামের কৃষক জয়নাল শিকদার বলেন, অনেক দিন আগে বীজ ধান কিনে ঘরে রেখেছি। বৃষ্টির পানি জমে থাকায় ধানের চারা তৈরী করা সম্ভব হচ্ছেনা। আমিনাবাদ গ্রামের সফল কৃষক আকতার মহাজন বলেন, আমি ৫ কেজি বীজ পাওয়ার সাথে সাথে একটু উচু জমিতে ধান বুনেছি। আশা করি এভাবে খরা দিলে মাঠে চাষ শুরু করতে পারব।

বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মুজিব নগর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমন আবাদ মৌসুমে যথাসময়ে কৃষকরা বীজতলা তৈরি করতে পারেনি। অতিবৃষ্টির ফলে কৃষকরা বীজতলা তৈরি করে শ্রাবন মাসে চারা রোপন নিয়ে পরেছে বিপাকে। জলাবদ্ধতায় কবে নাগাদ কৃষকরা আমন চারা রোপন করতে পারবে এ নিয়ে অনিশ্চয়তায়।

ভোলা জেলা জলবায়ু ফোরামের নির্বাহী সদস্য এম আবু সিদ্দিক বলেন, এক সময় ফসলি জমির মধ্য দিয়ে পানি নিস্কাসনের সরু খাল ছিল যা সরকারের খাস জমি হিসেবে থাকলেও জমির মালিক ও চাষারা সরু খাল ভরাট করে। ফলে পানি প্রবাহের গতিপথ বন্ধ হয়ে অতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে বীজতলা ও উঠতি ফসল অঙ্কুরেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এই সরু খালগুলো ল্যান্ড সার্ভের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করে খনন করা অতীব জরুরী।

চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু হাসনাইন আহমেদ বলেন, রোপা মৌসুমে টানা বৃষ্টিপাত হওয়ায় জমি জলাবদ্ধ হয়ে চাষের অনুপযোগী হয়ে পরায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমন ধানের বীজতলা তৈরী ও রোপণ করা সম্ভব হয়নি। চলতি বছর আমন চাষের মহুত্বে টানা বর্ষণে কৃষকের ফসলে মাঠে পানি থই থই করছে। আমন মৌসুমে সরকারি ভাবে ৫০ কৃষককে বীজ ধান দেয়া হয়েছে।