অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


আইসিসির নতুন এফটিপিতে বড় কিছুর আশায় বিসিবি


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ই এপ্রিল ২০২২ রাত ১০:৫৯

remove_red_eye

৩৮৬

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ২০১৮ সালে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুমোদন করেছিল। পুরোনো এফটিপিতে বাংলাদেশের ম্যাচ বাড়লেও বড় বড় দেশগুলোর বিপক্ষে খুব বেশি সিরিজ পায়নি।

যেমন: ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলার সূচি নেই বাংলাদেশের। দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২ টেস্ট থাকলেও ফিরতি সফর ছিল না। পাকিস্তান, ভারতের বিপক্ষেও সিরিজ মাত্র ২টি করে।

 

কোভিডের ধাক্কায় এফটিপিতে এমনিতেই প্রভাব পড়েছে। সেই ধাক্কা আস্তে আস্তে পুষিয়ে নিচ্ছে বোর্ডগুলো। পাশাপাশি নতুন এফটিপি নিয়েও চলছে কাজ। ২০২৩ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত মোট পাঁচ বছরের নতুন এফটিপি তৈরি করছে আইসিসি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরী  আইসিসি বোর্ড সভা থেকে ফিরে জানালেন, নতুন এফটিপিতে বড় বড় দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ আয়োজনের কথা চলছে। তাতে ইতিবাচক সাড়াও পেয়েছেন,‘আমরা আশাবাদী, ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে যোগাযোগ হচ্ছে। এই বিষয়টি (বড় বড় দলগুলোর সঙ্গে সিরিজ আয়োজন) সমাধানের জন্য আমরা বোর্ডগুলোর সাথে কথা বলেছি। ওদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। পরবর্তীতে এফটিপিতে এর কিছু প্রভাব পড়বে।’

পুরোনো এফটিপিতে মোট ৪৪ টেস্ট ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯টি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮টি, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭টি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫টি, ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪টি করে, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২টি করে এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১টি টেস্ট খেলার সূচি ছিল।

 

কোভিডের ধাক্কায় অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড সিরিজ আয়োজন করা হয়নি। পাকিস্তানে একটি টেস্ট খেলা বাকি আছে। এছাড়া কিছু সিরিজ শেষ হয়েছে, কিছু বাকি আছে।

নতুন এফটিপিতেও ম্যাচ বাড়বে এমন আশার কথা শুনিয়েছেন প্রধান নির্বাহী, ‘এফটিপি নিয়ে কয়েকটি আলাদা সেশন ছিল। সেখানে সব দেশের অপারেশনাল ডিপার্টমেন্টগুলো কাজ করেছে। একটা স্ট্রাকচারে দাঁড়িয়েছে।’

‘এফটিপি একটা চলমান প্রক্রিয়া। এটা শেষ হতে আরও সময় লাগবে। অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর সাথে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। আশা করছি ভালো কিছু থাকবে বাংলাদেশের জন্য। সব দেশের কাজ যখন শেষ হবে তখন আইসিসি হয়তো তাদের সাইটে আপলোড করবে। এখন পর্যন্ত কাজ চলছে। আমরা এখনও বলছি না কতগুলো ম্যাচ খেলছি বা কার কার সাথে খেলা আছে।’