অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগারে বই আছে কিন্তু পাঠক নেই


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৭ই মার্চ ২০২২ রাত ১১:১০

remove_red_eye

১০৯২






আকতারুল ইসলাম আকাশ : ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গকারী এক সাহসী যোদ্ধার নাম বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল। তিনি ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার পশ্চিম হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার চাকুরীর সুবাদে সেনানিবাসে কেটেছে দুঃসাহসী মোস্তফা কামালের শৈশব জীবনের বেশীরভাগ সময়। ২০ বছর বয়সে সেনা সদস্য হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে উঠা মোস্তফা কামাল পাকিস্তানের চতুর্থ ইস্ট-বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ইস্ট-বেঙ্গল রেজিমেন্টের হয়ে যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধের সময় তাঁকে মৌখিকভাবে ল্যান্স নায়েকের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় সমক্ষ যুদ্ধে এই বীর সন্তান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শাহাদাৎ বরণ করেন।

এই বীর মুক্তিযোদ্ধার আতœত্যাগের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং স্মৃতি রক্ষার্থে ২০০৮ সালে ভোলা জেলা শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে আলীনগর ইউনিয়নের মোস্তফা নগরে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর মৌটুপীর গ্রামের নাম পরিবর্তন করে কামাল নগর রাখা হয়েছে। জাদুঘরে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন, বীরশ্রেষ্ঠর ব্যবহৃত সামগ্রী, ছবি এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ধারক বিভিন্ন গ্রন্থ স্থান পেয়েছে। এছাড়া লাইব্রেরীতে আরও আছে বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের জীবনী, উপন্যাস, ধর্মীয় গ্রন্থ, বিজ্ঞান বিষয়ক রচনাবলী, সাধারণ জ্ঞান, শিশুসাহিত্য, কবিতা সমগ্রসহ নানান ধরনের বৈচির্ত্যময় বইয়ের সমৃদ্ধ সংগ্রহ। গত মঙ্গলবার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল নগরে গিয়ে দেখা গেল, ঝকঝকে–তকতকে একটি একতলা ভবন। ভেতরে ঢুকতেই বড় একটি হলরুম। কক্ষের দেয়ালে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের একটি মাত্র ছবি টানানো। আছে ১০টি আলমারি, হাজার তিনেক বই, আর ছয়টি টেবিল; সঙ্গে কিছু চেয়ার। কিন্তু পাঠক নেই। গ্রন্থাগারটি নিয়মিত খোলা হয়। জাদুঘরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের একটি ছবি ছাড়া আর কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই। লোকজনও খুব একটা আসে না। গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে একজন তত্ত¡াবধায়ক (কেয়ারটেকার) আছেন। যিনি মোস্তফা কামালের ভাগ্নে মো. রাশেদ মিয়া।

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুর রহমান বললেন, গ্রন্থাগারে দুই-তিন হাজার বই থাকলেও সেখানে পাঠক কম। প্রতিবছর মার্চ মাস এলে জাদুঘরটি ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু সারা বছর এখানে তেমন কোনো কর্মকাÐ থাকে না। অনেক সময় দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এই গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর দেখতে এসে হতাশ হন। তবে স্বাধীনতা দিবস এলে মানুষের আনাগোনা বাড়ে, অনেকেই দেখতে আসেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এখানে।কথা হয় মোস্তফা কামালের ভাগ্নে মো. রাশেদ মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, মোস্তফা কামালের নামে ভোলায় একটি কলেজ, একটি বাসস্ট্যান্ড, একটি লঞ্চঘাট ও একটি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে।মামার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে রাশেদ মিয়া বলেন, ২০০৮ সালে ওই গ্রন্থগার ও জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি জাদুঘরটি কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৮ সাল থেকে শুরু করে ২০১৪ ও ২০১৫ সাল পর্যন্ত অনেক দর্শনার্থী আসতো জাদুঘরটি দেখার জন্য। তখন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত লোকে-লোকান্তর থাকতো জাদুঘরটি৷ কেউ কেউ বই পড়ার পাশাপাশি পত্রিকাও পড়তো। কিন্তু ২০১৫ সালের পর থেকে দর্শনার্থী কমে গেলেও বই পড়ছেন না কেউই। বই পড়ার মতো কোনো পাঠক নেই। যাঁর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে বইগুলো নড়াচড়া না করাতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।তিনি আরও জানান, জাদুঘরে যুদ্ধকালীন সময়ের কোনো স্মৃতি না থাকায় দর্শনার্থীরা তেমন একটা আসছে না। এক কিংবা দুই সপ্তাহ পরপর দুএকজন দর্শনার্থী এলেও তাঁরা ভিতরে প্রবেশ করে মুঠোফোনে সেল্ফি তুলে চলে যাচ্ছেন। একবারের জন্য কেউ একটু বইগুলো খুলেও পড়ে না।তিনি জানান, জাদুঘরে প্রাচীনকালের কোনো স্মৃতি অথবা যুদ্ধকালীন সময়ের কোনো দুর্লভ স্মৃতি থাকলে দর্শনার্থীদের আসার আগ্রহ প্রকাশ পেতো এবং পাঠকও বই পড়ার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করতো।
গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর স¤পর্কে ভোলা সদর  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের কোনো স্মৃতি চিহ্ন যদি কোথায়ও থেকে থাকে তাহলে বিষয়টি তাদেরকে অবগত করলে সরকারি সহযোগিতায় তা জাদুঘরে নিয়ে আসা সম্ভব হবে। এছাড়াও যুদ্ধকালীন সময়ে মোস্তফা কামালের কোনো দুর্লভ স্মৃতি কিংবা ছবি জাদুঘরটিতে থাকলে দর্শনার্থী ও পাঠকদের উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।






তারেক রহমান দুটি আসনে নির্বাচন করছেন, ঢাকা–১৭ ছেড়ে ভোলায় যাচ্ছেন আন্দালিভ পার্থ

তারেক রহমান দুটি আসনে নির্বাচন করছেন, ঢাকা–১৭ ছেড়ে ভোলায় যাচ্ছেন আন্দালিভ পার্থ

ভোলা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আন্দালিভ রহমান পার্থ

ভোলা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আন্দালিভ রহমান পার্থ

সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন বেগম খালেদা জিয়া: ডা. জাহিদ হোসেন

সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন বেগম খালেদা জিয়া: ডা. জাহিদ হোসেন

গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশজুড়ে প্রচারণা চালাচ্ছে ‘ভোটের গাড়ি’

গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশজুড়ে প্রচারণা চালাচ্ছে ‘ভোটের গাড়ি’

ভোলা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে লালমোহনে আসছেন মেজর (অব:) হাফিজ

ভোলা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে লালমোহনে আসছেন মেজর (অব:) হাফিজ

ভোলায় ধান চাউল আড়ৎ মালিক সমিতির কমিটি গঠন

ভোলায় ধান চাউল আড়ৎ মালিক সমিতির কমিটি গঠন

আমরা সবাই চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমরা সবাই চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভোলায় আবাসিক হোটেল থেকে ব্যবসয়ারী ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ভোলায় আবাসিক হোটেল থেকে ব্যবসয়ারী ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ভোলায় অসহায় দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ

ভোলায় অসহায় দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ

২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনআইডি পাবেন তারেক রহমান

২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনআইডি পাবেন তারেক রহমান

আরও...