অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


ভোলায় ২৪ ঘন্টায় আরো ১৮ ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত ,  জেলায় আক্রান্ত ১১৯ জন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০ই আগস্ট ২০১৯ রাত ১১:০২

remove_red_eye

৪৮১

বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় গত ২৪ ঘন্টায় আরো বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ছে আরো ১৮ জন। এ নিয়ে প্রায় ২০ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১১৯ জনে। তবে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৩৮ জন। অন্যদিকে ৭৬ জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেলেও ঢাকায় রেফার করা হয়েছে ৭ জনকে।
ভোলার চার উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সদর হাসাপাতালে ২৬ জন, চরফ্যাশনে ৮ জন, তজুমদ্দিনে ১ জন, লালমোহনে ১জন ও মনপুরা হাসাপাতালে ২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। যাদের মধ্যে ৩ জন নারী। মোট আক্রান্তদের মধ্যে ১২ জন স্থানীয় রোগী হলেও বাকিরা ঢাকা থেকে আগত বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাঃ রথীন্দ্র নাথ মজুমদার।
তিনি জানান, রোগীদের পর্যপ্ত চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সদর হাসপাতালসহ সকল হাসপাতালে ডেঙ্গু সনাক্তকরন এন্টিজেন্ট কিট সরবরাহ করা হয়েছে। এখন থেকে সকল হাসপাতাল থেকেই ডেঙ্গু শনাক্ত করার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালু হয়েছে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। সুস্থ্য হয়ে রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন।
এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভোলা পৌরসভাসহ বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর এলাকায় মশোধ নিধন ও পরিস্কার-পরিচ্চন্নতা কার্যক্রম চলছে। তবুও ডেঙ্গু আতংকে রয়েছেন মানুষ।
দিন দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত সাধারনন মানুষ। জ্বরে আক্রান্ত হলেই রোগীরা ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গুর পরীক্ষা-নিরিক্ষা করতে ছুটে আসছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে রোগীদের উপছে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
শহরের ওয়েস্টার্ন পাড়া এলাকার বাসিন্দা মাহাবুবুর রহমান জানান, ছোট ছেলেটার দুইদিন ধরে জ্বর, এতে চিন্তিত হয়ে পড়েছি, তাই দুপুরে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছি।
ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ রথীন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলার সাত উপজেলার ছয় শতাধিক স্বাস্থকর্মী মাঠে কাজ করছে। সচেতনতামূলকসভা,স্বাস্থশিক্ষা প্রশিক্ষন, পরিচ্চন্নতা অভিযানসহ নানা কর্মসুচী অব্যাহত রয়েছে।