অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভারত সফরে মোদির আমন্ত্রণ পেলেন প্রধানমন্ত্রী


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০শে আগস্ট ২০১৯ রাত ১০:০২

remove_red_eye

৯৫৮

বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী অক্টোবরে ভারতে দ্বিপাক্ষিক সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর আজ বিকেলে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণ পত্র হস্তান্তর করেন।
পরে, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান এবং তাঁর শুভেচ্ছাও মোদীর নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য বলেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, বিগত পাঁচ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় আসীন হয়েছে।
তিনি বলেন, এই সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা এবং সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে জয়শংকর বলেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে পরস্পরের দেশ ভ্রমনের ক্ষেত্রটিকে সহজ করার বিষয়ে বিশ্বাসী ভারত।
জয়শংকর এ সময় বাংলাদেশের জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে তাঁর দেশের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে জলবিদ্যুৎ খাতে কার্যকর সহযোগিতার সম্ভবনা রয়েছে, যেহেতু, এর খরচও কম।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত তাঁদের ব্যবসা এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, মোংলা এবং পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে পারে।’
দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রসমূহ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রেল, সড়ক এবং আকাশ পথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক রুট ইতোমধ্যে উন্মুক্ত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে চমৎকার সহযাগিতা বিদ্যমান রয়েছে। দু’টি দেশ নিজেদের অনেক সমস্যাই দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বিশেষ করে দু’দেশের মধ্যকার সীমান্ত সমস্যা সমাধানের উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী এর সমাধান বিশ্বে উদাহারণ সৃষ্টি করেছে। ভারতের সকল রাজনৈতিক দল তাদের সংসদে সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত বিলের প্রতি সর্বসম্মতভাবে সমর্থন জানায়।
ভারতকে বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই নয়া দিল্লী বাংলাদেশের প্রতি অব্যাহতভাবে সমর্থন জানিয়ে আসছে। সূত্র: বাসস





আরও...