লালমোহন প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৬শে নভেম্বর ২০২১ রাত ১০:১৮
৪০২
হাসনাইন আহমেদ মুন্না : শনিবার ২৭ নভেম্বর ভয়াবহ কোকো ট্রাজেডির এক যুগ পূর্ত হচ্ছে। ভোলার ইতিহাসে শোকাবহ একটি দিন এটি। ১২ বছর আগে ২০০৯ সালের এই দিনে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জেলার লালমোহন উপজেলার নাজীরপুর ঘাটে কোকো লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৮১ জন যাত্রী প্রাণ হারায়। তার পরের দিন ছিলো কোরবানীর ঈদ। সেদিন ঈদের আনন্দ বিশাদে রুপ নেয় এখানে। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় স্বজনহারা মানুষের কান্না আজো থামেনি।
সেদিনের কথা মনে করে আজো আতঁকে ওঠেন অনেক মানুষ। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বরণসভা ও দোয়া মোনাজাত’র আয়োজন করা হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণেই সেদিন এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে এখনও ঈদ মৌসুমে ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে চলে অধিকাংশ লঞ্চ। যা নৌ দূর্ঘটনার প্রধান কারণ।
কোকো-৪ দুর্ঘটনায় লালমোহন উপজেলার চর ছকিনা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে নূরে আলম সাগর, তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ইয়াসমিন, শ্যালিকা হ্যাপি বেগমকে হারিয়েছেন। নূরে আলম ঈদুল আজহা উপলক্ষে নববধূ ও শ্যালিকাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। কিন্তু সেই দুর্ঘটনায় ৩ জনই মারা যায়। নববধূর ওই লাশের কথা মনে করতেই আজও কেঁদে ওঠেন ওই পরিবারের সদস্যরা। আব্দুর রশিদের পরিবারের মত কোকো-৪ দুর্ঘটনায় স্বজন হারা অন্যান্যরাও তাদের বাঁধ ভাঙ্গা কান্নাকে চেঁপে রাখছেন কষ্টে। স্বজন হারানোর শোকে কাতর ওই সকল পরিবার এখনো বাকরুদ্ধ।
একই এলাকার বাকলাই বাড়ির শামসুন নাহার স্বামী, সন্তান, দেবরসহ একই বাড়ির ১৬ জন নিয়ে কোকো লঞ্চে রওনা হয়েছিল বাড়িতে ঈদ করার জন্য। বাড়ির কাছের ঘাটে এসেই লঞ্চডুবিতে নিহত হয় তার মেয়ে সুরাইয়া (৭), ভাসুরের মেয়ে কবিতা (৩) ও দেবর সোহাগ (১৩)। সেই থেকেই শামসুন নাহার আদরের মেয়ের শোকে কাতর। শামসুন নাহারের মত কোকো-৪ লঞ্চ দুর্ঘটনায় কেউ হারিয়েছেন পিতা-মাতা, কেউ হারিয়েছে সন্তান, কেউবা ভাই-বোন আর পরিবারের উপর্জনক্ষম একমাত্র ব্যাক্তিকে। সেদিনের সেই মর্মান্তিক ট্রাজেডি’র কথা মনে করে শোক সাগরে ভাসছে পুরো লালমোহন।
লালমোহন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জসিম জনি বলেন, দূর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলো লালমোহন উপজেলার বাসিন্দা। এর মধ্যে শিশু ছিলো ৩৬ জন। যদিও বর্তমানে ঢাকা-লালমোহন রুটে একাধীক বিলাশবহুল অত্যাধুনিক লঞ্চ চালু করা হয়েছে। ঘাটগুলোও করা হয়েছে আধুনিকায়ন। দূর্ঘটনায় সেসময় মেরিন আইনে দুটি মামলা দায়েরের কথাও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দূর্ঘটনায় নিহত পরিবারদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। আগামীতে যাতে আর কোন নৌ দূর্ঘটনা না ঘটে এবং ঈদের সময় অতিরিক্ত যাত্রী ও ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল করতে না পারে সে ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৬ নভেম্ব ঢাকা থেকে কোরবানী ঈদের আগের দিন অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ভোলার লালমোহনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে লঞ্চটি। রাতে লালমোহনের নাজিরপুর ঘাটের কাছে এসে যাত্রীর চাপে ডুবে যায় লঞ্চটি।
তারেক রহমান দুটি আসনে নির্বাচন করছেন, ঢাকা–১৭ ছেড়ে ভোলায় যাচ্ছেন আন্দালিভ পার্থ
ভোলা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আন্দালিভ রহমান পার্থ
সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন বেগম খালেদা জিয়া: ডা. জাহিদ হোসেন
গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশজুড়ে প্রচারণা চালাচ্ছে ‘ভোটের গাড়ি’
ভোলা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে লালমোহনে আসছেন মেজর (অব:) হাফিজ
ভোলায় ধান চাউল আড়ৎ মালিক সমিতির কমিটি গঠন
আমরা সবাই চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভোলায় আবাসিক হোটেল থেকে ব্যবসয়ারী ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ভোলায় অসহায় দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ
২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনআইডি পাবেন তারেক রহমান
ভোলায় বিষের বোতল নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা
ভোলায় পাঁচ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
উৎসবের ঋতু হেমন্ত কাল
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
ঢাকা-ভোলা নৌ-রুটের দিবা সার্ভিসে যুক্ত হলো এমভি দোয়েল পাখি-১র
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
জাতীয় সংসদে জাতির পিতার ছবি টানানোর নির্দেশ
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক