অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


চরফ্যাশন পৌরবাসী শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৫শে আগস্ট ২০১৯ রাত ১০:৩৫

remove_red_eye

৭২৫

 

আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন : আধুনিক যুগেও মধ্যযুগীয় প্রচারণার শব্দ দূষনে অতিষ্ঠ চরফ্যাশন পৌরবাসী। প্রচারনার ক্ষেত্রে মাইকের ব্যবহার এখনো সকল প্রকার ব্যবসায়ীদের কাছে আস্থার প্রতীক। আর এ কারনে শব্দ দূষণ অতিমাত্রায় বেড়ে চলেছে। শব্দ দূষনের ক্ষেত্রে মাইক প্রচারের পাশাপাশি মটর সাইকেল ও অন্যান্য গাড়ীর হাইড্রোলিক হর্নও মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে জনজীবনে। হাসপাতাল, ক্লিনিকে অসুস্থ রোগী, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রী, বয়স্ক নারী-পুরুষ ও শিশু প্রতিনিয়ত এই শব্দ দূষনে অস্বস্থিকর পরিবেশ এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
চরফ্যাশন পৌরশহর ঘুরে দেখা যায়, আর নয় ঢাকা-বরিশাল-ভোলা এবার চরফ্যাশনে আসছেন সকল রোগের অভিজ্ঞ ডাক্তার, একটি মোবাইল সিম কিনলে ১০ জিবি ইন্টারনেট ফ্রি, টিবি ফ্রিজ কিনে আপনিও পেতে পারেন ১০ লক্ষ টাকার পুরুষ্কার, কসাইখানায় একটি জংলী মহিষ জবাই করা হবে, আমাদের কোচিংএ ভর্তি হলে প্রাইভেট পড়তে হয়না, আমাদের দোকানে রয়েছে ছেলে মেয়েদের বাহারী পন্যের সমাহার, আইচক্রিম একবার খাইলে বারবার খাইতে মন চায় এসকল লোভনী অফার শুনিয়ে সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত প্রতিনিত ১০ থেকে ১২টি গাড়ি মাইক নিয়ে পৌর শহরের অলিগলিতে প্রচারনা চালাচ্ছে।
৪নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু জানান, পৌরসভার প্রান কেন্দ্রে টিবি স্কুল, মডেল প্রাইমারি, গার্লস প্রাইমারী, আলিয়া মাদ্রাসা, গার্লস স্কুল, চরফ্যাশন সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, মহিলা মাদ্রাসা ও অফিস আদালতসহ অসংখ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রচারের মাইক প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। এতেকরে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়ছে। আমি একাধিকবার পৌরসভার মাসিক মিটিং ও উপজেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় প্রচারনার মাইক ব্যবহারে নীতিমালার কথা বলেছি, এখনও বাস্তবায়ন হয় নাই। দেশে শব্দ দূষনের বিরুদ্ধে আইন থাকলেও প্রয়োগ নেই। আমি আশা করি উপজেলা প্রশাসন বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫ এর ক্ষমতাবলে পৌর শহরে শব্দ দূষণ বন্ধে কাজ করবে।
চরফ্যাশন হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের প্রধান প্রতিবেদককে জানান, উচ্চমাত্রার শব্দের কারনে মানুষের শ্রবনশক্তি হ্রাস, কানে কম শুনা, হৃদরোগ, মেজাজ খিটখিটে হওয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। প্রতিনিয়ত শব্দ দূষনের কবলে পরলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে পৌরসভার মোট জনসংখ্যার ৩ ভাগের ১ ভাগ কানে কম শুনবে।
পৌরসভার একজন প্রবীন নাগরিক মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন, প্রতিদিন প্রচারনার মাইকের আওয়াজ এবং বাজারের ন্যাশনাল ব্যাংকের নীচ তলার মার্কেট, বকশী টাওয়ার নীচ তলা মার্কেটসহ কলেজ রোড, জনতা রোড, বটতলা রোডে মোবাইলে গান লোডের ছোট ছোট দোকানের স্পিকারের শব্দ দূষনের কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে। এই শব্দ দূষন বন্ধ করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।