অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


চরফ্যাশনে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২রা সেপ্টেম্বর ২০১৯ রাত ১০:২১

remove_red_eye

৬৭২

আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন : চরফ্যাশনে প্রায় সব ধরণের সবজি ক্ষেতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করছেন কৃষকেরা। তাদের অজ্ঞতা ও কীটনাশক কোম্পানি গুলোর অসম প্রতিযোগিতার কারণে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে কীটনাশকের ব্যবহার। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শও মানছেনা অনেক কৃষক। এতে করে বিষাক্ত এসব সবজি ফলনে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও। আমরা টাকা খরচ করে বিষ খাচ্ছি, ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, এক কথায় সবাই। প্রতি বছর হাজার হাজার শিশু হতে বৃদ্ধ সবাই ডাক্তারের শরনাপন্ন হচ্ছি শুধুমাত্র ভেজাল মিশ্রিত ফলমূল, মাছ, শাক-সবজি ও তৈরী খাবার খেয়ে।
জাহানপুরের সবজি চাষী আঃ মালেক বলেন, আমরা কি করব যে কীটনাশক ব্যবহার করছি সেটা আগে তিন দিন পরে পরে ব্যবহার করতাম কিন্তু এখন একদিন পরে পরে ব্যবহার করতে হচ্ছে। ঔষধের আগের কার্যকারিতা এখন আর পাচ্ছি না তাই ফলন বড় করার জন্য প্রায় প্রতিদিনই ঔষধ প্রয়োগ করতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ সিরাজ উদ্দিন জানান, কীটনাশক ব্যবহারকৃত সবজি খেয়ে মানুষ গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় পরেছে। জুন ২০১২ সালে দিনাজপুরে লিচু খেয়ে ১৪ শিশুর মৃত্যুর কারণ ছিল কীটনাশক। ২০১৭ সালে কীটনাশকজনিত বিষক্রিয়ায় দেশের ৪শ হাসপাতালে ৮ হাজার ৪শ ৩৮ জন পুরুষ ও মহিলা মৃত্যু বরণ করে। খাদ্যে ভেজাল ও সবজিতে কীটনাশকের ব্যবহারে দেশে ক্যান্সার রোগীদের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও লিবার এবং কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।
সবজি ক্রেতা সচেতন নাগরিক কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মঞ্জু জানান, কৃষিতে কীটনাশক পরিমানমতো ব্যবহারের অনুমোদন দিলেও মাঠে কী হচ্ছে তা যথাযথভাবে নজরদারি করা হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার যেমন করা হয়, তেমনি কীটনাশক ব্যবহারের একটি নির্দিষ্ট সময় পর শস্য বা ফল বাজারে নেওয়ার কথা থাকলেও সে পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয় না। উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা থাকলেও আদৌ মাঠে গিয়ে কৃষককে সচেতন করে তোলার মতো কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা যায় না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, ডিলারের কাছে গেলে অনেক সময় তারা কৃষককে বিভিন্ন ধরনের ভুল পরামর্শ দেন এবং কোম্পানীগুলোর লোকজন সবজী খামারের নিকট গিয়ে কৃষককে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে যাতে কৃষকের উপকারের জায়গায় ক্ষতির পরিমান বেশি হয়। কৃষককে স্ব স্ব ইউনিয়নে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ গ্রহন এবং সহযোগিতা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।